ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: অতিরিক্ত খরচের (GST Relief) বোঝা যেন দিন দিন গলা টিপে ধরছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলির। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম লাগামছাড়া, অথচ আয় বাড়ছে না। এই প্রেক্ষিতেই কেন্দ্রীয় সরকার ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছে এমন কিছু পণ্যে GST হ্রাসের, যা সরাসরি সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে।
আসন্ন বৈঠকে এই প্রস্তাব পাশ! (GST Relief)
সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে ১২ শতাংশ GST যেসব পণ্যের (GST Relief) উপর ধার্য রয়েছে, সেই হার কমিয়ে ৫ শতাংশ করার কথা ভাবা হচ্ছে। সিদ্ধান্ত এখনও আলোচনার স্তরে রয়েছে, তবে জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে যে, চলতি মাসের শেষ দিকেই GST পরিষদের আসন্ন বৈঠকে এই প্রস্তাব পাশ হতে পারে।
লাভবান হবেন সাধারণ গৃহস্থরা (GST Relief)
যেসব সামগ্রী নিয়ে ভাবনা চলছে, তার মধ্যে (GST Relief) রয়েছে টুথপেস্ট, সাবান, ঘি, রান্নার বাসন, প্রেসার কুকার, ইস্ত্রি, ছোট ওয়াশিং মেশিন, সেলাই মেশিন, বাইসাইকেল, টিকা, স্টেশনারি, ছাতা, রেডিমেড জামাকাপড় (১০০০ টাকার বেশি), জুতো (৫০০-১০০০ টাকার বেশি), এমনকি কৃষিকাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিও। এই তালিকা দেখে সহজেই বোঝা যায়, সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে সরাসরি লাভবান হবেন সাধারণ গৃহস্থরা।
মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কা
এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রকের তরফে আগেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল, GST কাঠামোয় কিছুটা বদল আনার প্রয়োজন রয়েছে, বিশেষত এমন সময়ে যখন বাজারে চাহিদা কমছে। মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কায় মানুষ খরচ করতে পারছে না, যার প্রভাব পড়ছে সামগ্রিক অর্থনীতিতে। তাই GST কমিয়ে জনগণের হাতে কিছুটা অতিরিক্ত টাকা তুলে দিতে চাইছে সরকার।
সরকারের রাজস্বে বড় ধাক্কা
যদিও এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে সরকারের রাজস্বে বড় ধাক্কা লাগবে বলেই মনে করা হচ্ছে। হিসেব বলছে, প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকার বোঝা কেন্দ্রীয় সরকারকে বইতে হতে পারে। তা সত্ত্বেও সরকার মনে করছে, ভোক্তার চাহিদা বাড়লে রাজস্বের ঘাটতি ধীরে ধীরে পুষিয়ে নেওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: Weather Forecast: আবহাওয়ার পরিবর্তন কলকাতায়, ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা!
GST পরিষদের ৫৬তম বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। সাধারণত এই ধরনের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিতে গৃহীত হয়। রাজ্যগুলির মতামতও গুরুত্বপূর্ণ। পশ্চিমবঙ্গ-সহ সমস্ত রাজ্যই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নিজের অবস্থান জানাতে পারবে।মোট কথা, যদি এই সিদ্ধান্ত পাশ হয়, তবে দীর্ঘদিন পর সাধারণ মানুষের রোজকার বাজারে কিছুটা হলেও স্বস্তি আসতে পারে। মধ্যবিত্তের মুখে হাসি ফোটানোর দিকে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে চলেছে এটি।