ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আগামীকাল, ৯ জুলাই (Bharat Bandh) দেশজুড়ে এক বিশাল কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে। এই ধর্মঘটে অংশ নিচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অন্তত ২৫ কোটিরও বেশি শ্রমিক ও কর্মচারী। কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির প্রতিবাদে আয়োজিত এই ধর্মঘট ব্যাঙ্কিং, বিমা, ডাক, কয়লা, বিদ্যুৎ, পরিবহণ এবং আরও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা খাতকে প্রভাবিত করতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
রাস্তায় নামা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই (Bharat Bandh)
১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলি যৌথভাবে (Bharat Bandh) এই বনধের আহ্বান জানিয়েছে। সংগঠনগুলির দাবি, বর্তমান সরকারের ‘শ্রমিক-বিরোধী’ এবং ‘কৃষক-বিরোধী’ নীতির বিরুদ্ধে রাস্তায় নামা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণ, ন্যূনতম মজুরি না দেওয়া, চাকরির অনিশ্চয়তা ও জীবনধারণের খরচ বৃদ্ধির প্রতিবাদেই এই বনধের সিদ্ধান্ত।
গ্রামীণ এলাকাতেও ধর্মঘটের প্রভাব! (Bharat Bandh)
অল ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের তরফে অমরজিৎ কৌর (Bharat Bandh) জানিয়েছেন, এই ধর্মঘটে শ্রমিকদের সাড়া অত্যন্ত ভাল মিলছে। সরকারি-বেসরকারি ও অসংগঠিত ক্ষেত্রেও ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকাতেও ধর্মঘটের প্রভাব পড়তে পারে। ব্যাঙ্কিং সেক্টরে এই বনধের প্রভাব বেশ বড় হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রাদেশিক ব্যাঙ্ক কর্মী সমিতি জানিয়েছে, তারা ধর্মঘটে অংশ নেবে। ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাঙ্ক পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। একই সঙ্গে বিমা ক্ষেত্রের কর্মীরাও এই কর্মসূচিতে শামিল হচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।
দেশজুড়ে সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট
হরভজন সিং সিধু, হিন্দ মজদুর সভার এক নেতা, জানিয়েছেন কয়লাখনি, ডাক পরিষেবা, রাষ্ট্রীয় পরিবহণ, শিল্পাঞ্চল ও বিদ্যুৎ খাতেও কর্মবিরতির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষত, বিদ্যুৎ বিভাগে কর্মরত প্রায় ২৭ লক্ষ কর্মী ধর্মঘটে অংশ নিলে দেশজুড়ে সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিতে পারে।

পরিষেবা বিঘ্ন হওয়াই স্বাভাবিক?
যদিও ব্যাঙ্ক বা সরকারি দফতরের তরফে এখনো পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও নোটিস জারি হয়নি, তবে ধর্মঘটের জেরে পরিষেবা বিঘ্ন হওয়াই স্বাভাবিক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। একইভাবে, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও কোনও স্কুল-কলেজ বা দফতর বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়নি।
আরও পড়ুন: Himachal Flash Floods: কুকুরের ডাকেই বাঁচলো প্রাণ, হিমাচলের হড়পা বানের ঘটনা অবাক করার মত!
সুতরাং, আগামীকাল অফিস, ব্যাঙ্ক বা যেকোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজের পরিকল্পনা থাকলে একটু ভেবেচিন্তে পদক্ষেপ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। কারণ বনধের জেরে শহর এবং গ্রামে উভয়ক্ষেত্রেই জনজীবন কিছুটা হলেও ব্যাহত হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।