ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সোনা কেনার কথা (Dubai Gold Rate) যখন মাথায় আসে, তখন অনেকেই ভাবেন দুবাই থেকে সোনা কিনলে কি তা ভারতীয় দামের তুলনায় সস্তা পড়বে? দুবাইয়ের গ্লোবাল মার্কেট এবং কর-নীতি ভারত থেকে আলাদা হওয়ায় সেখানে সোনা তুলনামূলকভাবে অনেক সস্তা পাওয়া যায়। তবে ভারতের বাজারে সোনা নিয়ে আসার ক্ষেত্রে শুল্ক এবং কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়, যা না জানা থাকলে সোনার সাশ্রয়ী কেনাকাটা মুশকিল হয়ে দাঁড়াতে পারে।
দুবাইয়ের সোনার দাম এখন কত? (Dubai Gold Rate)
আজ ৯ জুলাই দুবাইতে ২৪ ক্যারেট সোনা প্রতি ১০ গ্রামে প্রায় (Dubai Gold Rate) ৯২,৮০৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যেখানে ভারতের বাজারে একই মানের সোনা ৯৮,১৮০ টাকা প্রতি ১০ গ্রামে। অর্থাৎ, দুবাইয়ের দাম ভারতের তুলনায় প্রায় ৫৩.৭৪ টাকা কম। ২২ ক্যারেট সোনার ক্ষেত্রেও একই ধারা বজায় আছে। দুবাইয়ে ২২ ক্যারেট সোনার দাম ৮৫,৯৭৭ টাকা, যেখানে ভারতে এটি বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৯০,০০০ টাকা প্রতি ১০ গ্রামে। ১৮ ক্যারেট সোনাও দুবাইয়ে সস্তায় পাওয়া যাচ্ছে ৭০,৬৫৬ টাকা প্রতি ১০ গ্রাম, ভারতের দাম যেখানে ৭৩,৬৪০ টাকা।
সোনা নিয়ে আসার নিয়ম ও শুল্ক (Dubai Gold Rate)
যদিও দুবাই থেকে সোনা সস্তায় পাওয়া যায়, তবুও ভারতীয় আইন (Dubai Gold Rate) অনুযায়ী কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। একজন মহিলা দুবাই থেকে সর্বোচ্চ ৪০ গ্রাম সোনা নিয়ে ভারতে আনতে পারেন, আর পুরুষেরা ২০ গ্রাম পর্যন্ত আনতে পারবেন। তবে, যদি আপনি দুবাইয়ে অবস্থান করে সেখানে থেকে সোনা কিনে ভারত ফিরেন, তাহলে শুল্কমুক্ত ১ কেজি পর্যন্ত সোনা আনতে পারবেন, তবে এই সোনা অবশ্যই গয়না হিসেবে হতে হবে। অর্থাৎ, বিস্কুট বা কয়েনের মতো আকারে সোনা আনতে পারবেন না।
কেন দুবাইয়ের সোনা সস্তা?
দুবাই বিশ্বে সোনার বড় মার্কেট হিসেবে পরিচিত। সেখানে কর ও শুল্ক অনেক কম হওয়ায় সোনার দাম তুলনামূলকভাবে কম থাকে। আরেকটি বিষয় হল, দুবাইয়ের সোনার বিশুদ্ধতা ও বিভিন্ন ক্যারেটের সোনার প্রাপ্যতা অনেক বেশি, যা ক্রেতাদের জন্য একটি বড় সুবিধা।
আরও পড়ুন: Earthquake in Delhi: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল রাজধানী, ছড়ালো উত্তেজনা!
কী ভাবা উচিত?
যদি আপনি দুবাই সফরে যান এবং সোনার কেনাকাটা করার পরিকল্পনা করেন, তাহলে বাজারের বর্তমান দর এবং শুল্ক নিয়মকানুন ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে। ছোট পরিমাণে সোনা কেনা-আনার ক্ষেত্রে সাশ্রয় হতে পারে, কিন্তু বড় পরিমাণে আনতে হলে শুল্কের কারণে লাভ কমে যেতে পারে। এছাড়া, সোনা কেনার সময় বাজারের ওঠাপড়া এবং রূপার দামও বিবেচনা করা জরুরি।
সতর্কতা ও পরামর্শ
বাজারে সোনায় বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়। অবিবেচক বিনিয়োগ থেকে বিরত থাকাই ভালো। সুতরাং, দুবাই থেকে সোনা কেনা সামান্য সাশ্রয়ী হলেও, শুল্ক, নিয়মকানুন এবং বাজারের ওঠাপড়া বিবেচনা না করলে লাভের পরিবর্তে ক্ষতিও হতে পারে। তাই পরিকল্পনা করে এবং সচেতনভাবে কেনাকাটা করাই সবচেয়ে নিরাপদ পথ।