ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি খবর ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে (Jan Dhan Yojana) দাবি করা হয় যে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সমস্ত নিষ্ক্রিয় প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনার (PMJDY) অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জনমনে তৈরি হয় জোরালো আশঙ্কা ও বিভ্রান্তি। এই প্রেক্ষিতেই ৮ জুলাই, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে, এই ধরনের কোনও নির্দেশ ব্যাঙ্কগুলিকে দেওয়া হয়নি।
নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট বন্ধের কোনও পরিকল্পনা সরকারের নেই (Jan Dhan Yojana)
সরকারি ওই বিবৃতিতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনার কোনও (Jan Dhan Yojana) নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট বন্ধের কোনও পরিকল্পনা সরকারের নেই। বরং, এই প্রকল্পকে আরও বেশি নাগরিকের কাছে পৌঁছে দিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক ইতিমধ্যেই একটি তিন মাসব্যাপী বিশেষ প্রচার অভিযান শুরু করেছে, যা ১ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংক কেওয়াইসি (KYC) আপডেট করার কাজ চালাবে, যাতে অ্যাকাউন্টধারীদের সঙ্গে পুনরায় সংযোগ স্থাপন সম্ভব হয়।
আর্থিক অন্তর্ভুক্তির নীতিকে সফল করে তুলছে (Jan Dhan Yojana)
অর্থমন্ত্রকের বক্তব্য অনুযায়ী, নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্টগুলিকে সচল করতে (Jan Dhan Yojana) ব্যাংকগুলিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু সেগুলি বন্ধ করে দেওয়ার কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। পরিসংখ্যান বলছে, জনধন প্রকল্পের আওতায় অ্যাকাউন্ট সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে, যা সরকারের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির নীতিকে সফল করে তুলছে।

সরাসরি অ্যাকাউন্টে জমার সুবিধা
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনা ২০১৪ সালে চালু হয়, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের প্রতিটি নাগরিককে ব্যাংকিং ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করা। এই প্রকল্পের অধীনে যেকোনও ভারতীয় নাগরিক শূন্য ব্যালান্সে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। এর সঙ্গে রয়েছে রুপে ডেবিট কার্ড, দুর্ঘটনাজনিত বিমা (২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত), জীবন বিমা (৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত) এবং বিভিন্ন সরকারি টাকা সরাসরি অ্যাকাউন্টে জমার সুবিধা।
আরও পড়ুন: Rupees 50 Coin: বাজারে আসছে ৫০ টাকার কয়েন? কী জানালো কেন্দ্র?
এই প্রকল্প শুধুমাত্র আর্থিক লেনদেনের সুযোগই নয়, বরং গ্রামীণ এবং শহরের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য আর্থিক শিক্ষা, সঞ্চয় এবং বিমার মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে সাহায্য করেছে। বর্তমানে দেশের ৫৪.৫৮ কোটিরও বেশি মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধাভোগী, যা এটিকে বিশ্বের বৃহত্তম আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রকল্প হিসেবে পরিচিত করেছে।