ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ সাময়িকভাবে থেমেছে ঠিকই, কিন্তু ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ এখনও চড়া(Donald Trump)। এবার সেই উত্তেজনায় নতুন সংযোজন—ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইয়ের প্রাক্তন উপদেষ্টা জাভেদ লারিজানির মুখে সরাসরি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার হুমকি।
“ড্রোন আসবে ট্রাম্পের নাভির দিকে” (Donald Trump)
ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারে লারিজানি বলেন—“তিনি(Donald Trump) পেট উন্মুক্ত করে রোদ পোহাবেন, আর সেই সময় একটি ছোট ড্রোন হয়তো এসে তাঁর নাভিতে আঘাত করবে।”
এই মন্তব্যের মাধ্যমে একপ্রকার প্রকাশ্যে ট্রাম্পের প্রাণনাশের ইঙ্গিতই দিলেন লারিজানি। এবং এই মন্তব্য কোনও সাধারণ নাগরিকের নয়— ইরানের রাজনীতি ও পরমাণু নীতির অভ্যন্তরীণ স্তরে দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন জাভেদ লারিজানি।
খামেনেইদের দেশ কেন ক্ষুব্ধ? (Donald Trump)
সম্প্রতি ইজরায়েল ও ইরানের সংঘাতের আবহে আমেরিকা ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলিতে হামলা চালায়(Donald Trump)। তেহরানের ফোরডো, ইসফাহান এবং নাতান্জ়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়। ট্রাম্প সরকার ওই হামলার অনুমোদন দিয়েছিল— এবং সেটা এমন সময়, যখন ট্রাম্প নিজেই বলেছিলেন, “আমরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দু’সপ্তাহ সময় নেব।” কিন্তু দু’সপ্তাহ দূরে থাক, মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই হামলা চালানো হয়। ইরান একে “বিশ্বাসঘাতকতা” বলেই মনে করছে।

ট্রাম্প কী বললেন? (Donald Trump)
বুধবার ‘ফক্স নিউজ’-এর সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, “এই হুঁশিয়ারিকে আপনি কি সত্যিকারের হুমকি হিসেবে দেখছেন?” ট্রাম্পের(Donald Trump) জবাব—“হ্যাঁ, এটা একটা হুমকি বলেই মনে হচ্ছে। তবে আমি নিশ্চিত নই।” সেই সঙ্গে হাস্যরসের ছলে ট্রাম্প জানান, তিনি বহু বছর রোদ পোহান না। “আমার মনে হয়, আমি শেষ রোদ পোহাই ৭ বছর বয়সে। তারপর থেকে আর নয়।” এই উত্তর যতটা হালকা চালে বলা, ততটাই তীব্র বার্তা বহন করে—ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছেন, হুমকি হালকাভাবে নিলেও সুরক্ষা ব্যবস্থার দিক থেকে ব্যাপারটা খুবই গুরুতর।
মার্কিন নিরাপত্তা দপ্তর কী করছে? (Donald Trump)
হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা গেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ফ্লরিডার ‘মার-আ-লাগো’ বাসভবনকে ঘিরে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। ‘সিক্রেট সার্ভিস’ এবং ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মিলিতভাবে তদন্ত শুরু করেছে, ইরান থেকে কোনও ড্রোন বা দূরপাল্লার হামলার আশঙ্কা সত্যি কতটা বাস্তব।

বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন (Donald Trump)
আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, “এই হুঁশিয়ারি কূটনৈতিক নয়, সরাসরি সন্ত্রাসমূলক হুমকি। আমেরিকা সম্ভবত জাতিসংঘের মাধ্যমে এর কড়া প্রতিবাদ জানাবে।” তাদের মতে, এর ফলে ইরান-আমেরিকা সম্পর্ক আরও অবনতির দিকে যাবে। বিশেষ করে, যদি ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা চাপায়।
ইরান-ইজ়রায়েল যুদ্ধের পরে অনেকেই শান্তির আশায় ছিলেন, কিন্তু ইরানের প্রভাবশালী বুদ্ধিজীবী শিবির থেকে ট্রাম্পকে হত্যার হুমকি সেই আশার উপর জল ঢেলে দিয়েছে। এখন দেখার, আমেরিকা কূটনৈতিক পথ নেয়, না কি সামরিক জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।