ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: নতুন বছরের দিনে শামসুদ্দিন জব্বার একটি ভাড়া করা ট্রাক নিয়ে নিউ অরলিন্সের বোরবন স্ট্রিটে ঢুকে পড়েন (New Orleans Attacker House) এবং নতুন বছর উদযাপনকারীদের ওপর ট্রাক চালিয়ে দেন। এই ঘটনাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল তদন্তকারীরা সন্ত্রাসবাদী হামলা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এতে ১৪ জনের মৃত্যু হয় এবং বহু মানুষ আহত হন। শামসুদ্দিন জব্বার পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হন।
কী ছিল বাড়িতে? (New Orleans Attacker House)
৪২ বছরের এই সন্ত্রাসবাদী আইএসআইএস-কে সমর্থন করেছিলেন। তার উত্তর হিউস্টনের বাড়ি (New Orleans Attacker House) থেকে একটি বিশৃঙ্খল জীবনের চিহ্ন পাওয়া গেছে। নিউ ইয়র্ক পোস্ট জানিয়েছে, তার ট্রেলার বাড়ি থেকে বোমা তৈরি করার সরঞ্জাম, একটি খোলা কোরান এবং একটি কর্মশালা পাওয়া গেছে যেখানে বিস্ফোরক তৈরি করা হতো।
শেষ ভিডিয়ো (New Orleans Attacker House)
কোরআনটি ৯:১১১ নম্বর আয়াতে খোলা ছিল, যেখানে লেখা আছে, “তারা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে, হত্যা করে এবং নিহত হয়; এটি একটি অঙ্গীকার।” হামলার কয়েক মিনিট আগে (New Orleans Attacker House), শামসুদ্দিন জব্বার অনলাইনে ভিডিয়ো পোস্ট করেন যেখানে তিনি আইএসআইএস-এর প্রতি তার আনুগত্য ঘোষণা করেন এবং নিজের পরিবারের প্রতিও হুমকি দেন।
বাড়িতে অভিযান
এফবিআই তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অগোছালো অবস্থা দেখতে পায়। সামনের দরজা ভাঙা, ক্যাবিনেট খোলা এবং আসবাবপত্র উল্টে পড়ে ছিল। তার শোবার ঘরে একটি কাপড়ের কেফিয়েহ ছিল এবং বোমা তৈরির সরঞ্জাম কর্মশালায় ছড়িয়ে ছিল।
আরও পড়ুন: Chinmay Krishna: খারিজ চিন্ময়ের জামিনের আর্জি, হাইকোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি ইসকনের
বাড়ি থেকে রাসায়নিক পদার্থ এবং বোতল পাওয়া গেছে, যা সাধারণত বোমা তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। একটি গোটানো নামাজের চাদর এবং বিভিন্ন ইসলামিক বইও সেখানে পাওয়া গেছে।
সেনা অফিসার?
কখনও সেনাবাহিনীর স্টাফ সার্জেন্ট হিসাবে কাজ করা শামসুদ্দিন জব্বার ২০০৯ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত আফগানিস্তানে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালে তিনি সক্রিয় ডিউটি ছেড়ে দেন এবং ২০২০ সালে রিজার্ভ থেকেও সরে যান। পরে তিনি রিয়েল এস্টেট এবং আইটি সেক্টরে কাজ করার চেষ্টা করেন।
কী বলছেন ছোট ভাই?
তার ছোট ভাই আবদুর জব্বার বলেন, “এটি ধর্ম নয়, বরং একটি চরমপন্থী মানসিকতার ফল। সে খুব ভালো মানুষ ছিল, সবার বন্ধু, খুব যত্নশীল।”