ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: চার দশক পর ভারতীয় (Axiom4Mission) মহাকাশ অভিযানের ইতিহাসে লেখা হল আরেকটি গর্বের অধ্যায়। রাকেশ শর্মার পরে মহাকাশে পা রাখা দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে শুভাংশু শুক্ল ইতিমধ্যেই ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। এবার অপেক্ষা তাঁর প্রত্যাবর্তনের। অবশেষে জানা গেছে, আগামী ১৪ জুলাই, সোমবার আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন (ISS) থেকে পৃথিবীর পথে রওনা দেবেন শুভাংশু ও তাঁর তিন সহ নভোচারী। আনডকিং প্রক্রিয়া শুরু হবে ভারতীয় সময় অনুযায়ী বিকেলের দিকে। মঙ্গলবার তাঁরা পৃথিবীতে অবতরণ করবেন বলে জানানো হয়েছে।
নাসার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা (Axiom4Mission)
নাসার পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে এই মিশনের (Axiom4Mission) ফেরা নিয়ে। নাসার কমার্শিয়াল ক্রু প্রোগ্রামের ম্যানেজার স্টিভ স্টিচ জানিয়েছেন, Axiom-4 মিশন পরিকল্পনামাফিক এগোচ্ছে এবং ১৪ জুলাই-ই আনডক করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর আগেও কিছু সম্ভাব্য দিন জানানো হয়েছিল, কিন্তু আবহাওয়া এবং কক্ষপথের পরিস্থিতি বিবেচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সোমবারের।

মহাশূন্যেই আয়োজন করেছিলেন এক জমজমাট ভোজ (Axiom4Mission)
মহাকাশে কাটানো এই সময়টুকু শুধু বৈজ্ঞানিক গবেষণার (Axiom4Mission) জন্য নয়, একটি দারুণ মানবিক অভিজ্ঞতা হিসেবেও রয়ে যাবে শুভাংশুর স্মৃতিতে। ফেরার আগে শুভাংশু ও তাঁর ক্রু সদস্যরা মিলে মহাশূন্যেই আয়োজন করেছিলেন এক জমজমাট ভোজ। সেই মুহূর্তের ছবি সামনে এসেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে তাঁরা ভেসে বেড়াচ্ছেন এবং হাসিমুখে খাবার উপভোগ করছেন।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথোপকথন
মহাকাশে অবস্থানকালে শুভাংশুর সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। সেই মুহূর্তটি ছিল ঐতিহাসিক, কারণ তা সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছিল দেশের মানুষের সামনে। কথোপকথনের সময় মহাকাশ থেকে ভারতকে ‘ঐশ্বরিক’ বলে বর্ণনা করেন শুভাংশু। রাকেশ শর্মার “সারে জহাঁ সে আচ্ছা” মন্তব্যের ৪১ বছর পর, এটি ছিল আরেকটি আবেগঘন মুহূর্ত।
আরও পড়ুন: Weather Forecast: ফের কি বৃষ্টি বাড়বে? কী জানাল হাওয়া অফিস?
শুভাংশুর যাত্রা শুরু হয়েছিল ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে। স্পেস-এক্সের ড্রাগন ক্যাপসুলে করে যাত্রা করেন তিনি এবং আরও তিন আন্তর্জাতিক নভোচারী। প্রায় দুই ঘণ্টার ডকিং প্রক্রিয়ার পর তাঁরা পৌঁছন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে। সেদিন সাতজন মহাকাশচারী তাঁদের স্বাগত জানান, জড়িয়ে ধরেন। শুভাংশু নিজেও জানিয়েছিলেন, তিনি আজীবন এই মুহূর্তের অপেক্ষায় ছিলেন। ১৪ জুলাই যাত্রা শেষ হলেও, ইতিহাসে তাঁর অবদান দীর্ঘস্থায়ী হবে। শুভাংশু শুক্লা শুধু একজন নভোচারী নন, নতুন প্রজন্মের কাছে তিনিই এখন অনুপ্রেরণা।