ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পাঁচ তারা হোটেল থেকে শুরু করে বিলাসবহুল শহর – পাকিস্তান আইএমএফের লাইফ সাপোর্টে থাকাকালীন আসিম মুনিরের বিলাসবহুল শ্রীলঙ্কা ভ্রমণ (Asim Munir Lavish Sri Lanka Trip)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ঠিক আগে মুনিরকে একটি উচ্চমানের আমেরিকান মলে কেনাকাটা করতে দেখকে পাওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরেই এটি ঘটেছে।
বিলাসবহুল ‘কূটনৈতিক সফর’ শ্রীলঙ্কায় (Asim Munir Lavish Sri Lanka Trip)
পাকিস্তানের ফিল্ড মার্শাল ও সেনাপ্রধান আসিম মুনির ২০ থেকে ২৩ জুলাই শ্রীলঙ্কা সফরে যাচ্ছেন (Asim Munir Lavish Sri Lanka Trip)। দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের মুখে থাকলেও, তার এই সফর কূটনৈতিক কম, বরং করদাতাদের অর্থে এক রাজকীয় অবকাশযাপন বেশি, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। এই সফরে মুনির বিশেষ উড়োজাহাজে যাবেন, থাকবেন শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর এক অভিজাত পাঁচতারা হোটেলে। তাঁকে মোটরসাইকেল কনভয়ের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হবে। থাকছে হেলিকপ্টার ভ্রমণ, বিলাসবহুল শহর ঘুরে দেখা ও শ্রীলঙ্কার ঐতিহাসিক সিগিরিয়া দুর্গ ও আদমস পিক দর্শন করার পরিকল্পনাও।
আমেরিকায় কেনাকাটা করেও ছিলেন সমালোচনার মুখে (Asim Munir Lavish Sri Lanka Trip)
এই সফরের কিছুদিন আগেই আসিম মুনিরকে দেখা গেছে আমেরিকায় দামি শপিং মলে কেনাকাটা করতে (Asim Munir Lavish Sri Lanka Trip)। তখন তাঁর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সেসময়ও তাঁর আচরণ নিয়ে পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: 35 percent tariff for Canada: কানাডার উপর শুল্ক বেড়ে ৩৫ শতাংশ! আরও উত্তপ্ত মার্কিন-কানাডা সম্পর্ক
আইএমএফের ঋণের পরই সাংসদদের বেতন ৫ গুণ বাড়ানো
জনগণ যখন চরম আর্থিক কষ্টে, তখন দেশটির উচ্চপদস্থ রাজনীতিকদের জন্য ব্যাপক বেতনবৃদ্ধি করেছে সরকার। জুন মাসের শুরুতে, আইএমএফ এক বিলিয়ন ডলারের ঋণ মঞ্জুর করার এক মাসের মধ্যেই, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার ও সেনেট চেয়ারম্যানের মাসিক বেতন বাড়িয়ে ১৩ লাখ রুপি (প্রায় ১২ হাজার ডলার) করা হয়েছে। আগে স্পিকারের বেতন ছিল ২ লক্ষ ৫ হাজার রুপি। ২৯ মে পাকিস্তানের সংসদ বিষয়ক মন্ত্রক এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করলেও, বিষয়টি সামনে আসে পরে এমনটাই জানিয়েছে সামা টিভি।
আরও পড়ুন: Muhammad Yunus: ‘মহিলা আধিকারিকরা আর স্যর নয়!’ হাসিনা জমানার নিদান বাতিল ইউনুস সরকারের
পাকিস্তানের অর্থনীতির বাস্তব চিত্র
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)-এর তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তান বর্তমানে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম ঋণগ্রহীতা। দেশটি প্রায় ১০.৪ বিলিয়ন ডলারের ঋণের বোঝা টানছে। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা একেবারেই নেই। ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছিল ৩৫.৩৭ শতাংশে, যা গত ৫০ বছরে সর্বোচ্চ। পাকিস্তানের সরকার এখন ঋণের কিস্তি শোধ করতেই বাজেটের বড় অংশ ব্যয় করছে। সেই সঙ্গে সরকারি ঋণও লাগাতার বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারের উচ্চপদে থাকা ব্যক্তিদের বিলাসিতা সাধারণ মানুষের ক্ষোভ আরও বাড়াচ্ছে।