ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বেশ কিছুদিন ধরে তরুনীকে নজরে নজরে রাখছিলেন যুবক। সুযোগ পেয়ে নিয়ে যান ফ্ল্যাটে। সেখানে তাকে খুন করে ধর্ষণ করবেন নাকি ধর্ষণ করে খুন, তা ঠিক করতে করলেন টস। অবশেষে ওই যুবক খুন করেন তরুণীকে(Murder and Rape)। স্বীকার করেছেন আদালতে।
কাউকে খুন করার কথা ভাবছিল যুবক (Murder and Rape)
ঘটনাটি ঘটে পোল্যান্ডে। মৃত তরুনীর নাম উইক্টোরিয়া কোজিয়েলস্কা। এবং খুনে অভিযুক্ত যুবক হল মাতেউস হেপা(Murder and Rape)। মাতাউস বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরেই সে কাউকে খুন করার কথা ভাবছিল। শিকার খুঁজতে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরেও বেরিয়েছে সে। এরপর আচমকাই তরুণী উইক্টোরিয়া কোজিয়েলস্কার সঙ্গে অভিযুক্তর আলাপ হয়ে যায় বাসে। এরপর থেকেই তাঁর পিছু নেওয়া শুরু।
কখন খুন করা হয় তরুণীকে? (Murder and Rape)
সেদিন সন্ধ্যেয় একটি পার্টি সেরে বাড়িতে ফিরছিলেন তরুনী, তখনই অভিযুক্ত হেপা তাঁকে দেখতে পান এবং তাঁর ফ্ল্যাটে যেতে অনুরোধ করেন তরুণীকে। তরুণী সেই যুবকের সাথে তাঁর ফ্ল্যাটেও যান। এবং কোজিয়েলস্কা ঘুমিয়ে পড়েন সেখানে। তারপরেই যুবক খুন করেন তরুণীকে(Murder and Rape)।
আরও পড়ুন:Los Angeles Wild Fire: মৃত বেড়ে ২৪! লস অ্যাঞ্জেলেসের ভয়াবহ দাবানলের পিছনে মানুষের হাত?
আদালতে কী বললেন অভিযুক্ত?
অভিযুক্ত স্বীকার করেছে, ফ্ল্যাটে যাওয়ার পর তাঁরা দু’জনে কিছুক্ষণ বসে ছিল। তবে তাঁদের মধ্যে কোনওরকম কথা হয়নি। এরপর আচমকাই কোজিয়েলস্কা ঘুমিয়ে পড়েন। আদালতে দাঁড়িয়েও নিজের কাজের জন্য এতটুকু অনুতপ্ত নয় অভিযুক্ত মাতেউস হেপা। পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, ‘তরুণীকে খুন করবে কিনা তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে করতেই আচমকাই হাতে একটি কয়েন তুলে নিই। টস করতেই হেড পড়লে আমি তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করি। যদি টেইল পড়ত তাহলে হয়তো তাঁর এমন পরিণতি হত না। সে বেঁচেই থাকত।‘
দেহ পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত বদলায় যুবক
আদালতে সে আরও জানিয়েছে, শ্বাসরোধ করে মারার পর তাঁর মৃতদেহের ওপর যৌন নির্যাতন করে সে। বিষয়টি যাতে জানাজানি না হয় সে কারণেই শ্বাসরোধ করে খুনের পরিকল্পনা করেছিল সে। পরে প্ল্যাস্টিকে মুড়ে মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টাও করে সে। কিন্তু মন বদলে যায়। তাঁর কথায়, ‘‘আমার মনে হয়েছিল খুন করা দরকার। কারণ খুন করতে ভাল লাগে।“ খুনের পর দেহ লোপাটের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে মন বদলে যায়। তারপর নিজেই পুলিশকে ফোন করে খুনের কথা জানান অভিযুক্ত যুবক।
আরও পড়ুন:Rabbit Fever: আমেরিকায় দেখা দিচ্ছে র্যাবিট ফিভার, কী এই রোগ? আতঙ্কে আমেরিকাসহ ভারত
খুন করে নিজেই পুলিশকে ফোন যুবকের
অভিযুক্ত জানায়, নিজের মন মতো সবকিছু করেও মানসিকভাবে শান্তি পায়নি সে। কোথাও একটা খারাপ লাগা কাজ করছিল। এরপর সে নিজেই পুলিশকে ফোন করে এবং তাকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গেছে, দোষী সাব্যস্ত হলে অভিযুক্ত হেপার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। ওই যুবকের মানসিক সমস্যা রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ ফেব্রুয়ারি। ওইদিনই মামলার চূড়ান্ত রায়দান হতে পারে বলে খবর।