ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: এক সময় যে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ছিল ভারতীয় সিনেমার গর্ব (Tollywood Industry), সেই টলিউড আজ প্রবল সংকটে। কাজ কমছে, প্রজেক্ট বাতিল হচ্ছে, বহু শিল্পী কর্মহীন হয়ে পড়ছেন। অভিযোগ উঠছে— এর মূল কারণ টলিপাড়ার অন্দরমহলে গড়ে ওঠা একপ্রকার “সিন্ডিকেট শাসন”, যার মাথায় রয়েছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব অরূপ বিশ্বাসের ভাই স্বরূপ বিশ্বাস।
স্বরূপ বিশ্বাসের বাঁধা নিয়ম (Tollywood Industry)
শিল্পীদের একাংশের দাবি, স্বরূপ বিশ্বাসের বেঁধে দেওয়া নিয়ম ছাড়া বর্তমানে কোনও বড় প্রজেক্ট টলিউডে শুরু করা যাচ্ছে না (Tollywood Industry)। এমনকি শ্যুটিং চলাকালীন তাঁর ফোন এলে শ্যুট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, আবার বিরোধিতা করলে উঠছে নাম ‘ব্যান লিস্ট’-এ।
ভুগছেন টেকনিশিয়ানরাও (Tollywood Industry)
একসময় যেখানে বাংলা তার নিজস্ব কনটেন্টে দেশ-বিদেশ মাতাতো, সেখানে এখন দক্ষিণ ভারত বা মুম্বইয়ের প্রজেক্টও কলকাতাকে এড়িয়ে যাচ্ছে (Tollywood Industry)। ‘পুষ্পা’র মতো বিখ্যাত ফিল্মও কলকাতায় রেকি করেও শেষমেশ শ্যুট করেনি। শুধু শিল্পীরা নয়, ভুগছেন টেকনিশিয়ানরাও।
কী বললেন শৌর্য রায়?
ট্রাইব টিভি বাংলাকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে টলিউডের মেকআপ আর্টিস্ট শৌর্য রায় জানিয়েছেন, “টলিপাড়ায় ঢুকলে নরক দেখতে পাই। কাজ জানা লোক কাজ পাচ্ছে না। যতই ভালো কাজ জানি, আমরা কাজ পাবো না। কারণ আমাদের কাটমানি দিতে হয়। নোংরামি চলছে টলিপাড়ায়। রাজনীতি চলছে নোংরা রাজনীতি। আমার ঘরের বাচ্চারা চিকেন খেতে চাইলেও বাড়িতে নিয়ে যেতে পারছি না। সকালে ভাবছি বিকেলে কি হবে, আবার বিকেলে ভাবছি পরের দিন সকালে কি হবে। কেউ মুদিখানার দোকানে কাজ করছেন, কেউ বইখাতার দোকানে কাজ করছেন। কার্ড বানাতে গেলেও কুড়ি হাজার টাকা লাগে। ঘর চালাতে পারছে না এত টাকা কোথা থেকে দেবে। কাজ পাওয়ার জন্য কাটমানি দিতে হচ্ছে। কাটমানিটা বড় বড় মাথাদের কাছে যায়। দিনের পর দিন কাজ করে যাচ্ছি হাতে কিছু আসছে না।”
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: ১৩ জুলাই শুভেন্দুর মিছিলে মেলেনি পুলিশি অনুমতি, অনুমতি না পেয়ে হাইকোর্টে বিজেপি
কী বললেন মৃণাল মাইতি?
টলিউডের আরেক ক্যামেরাম্যান মৃণাল মাইতির কথায়, “বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি আজ তলানিতে। বাংলাতে কয়েকটা সিরিয়াল আর সিনেমা ছাড়া কোন কাজ হচ্ছে না। একটা সময় ছিল কাজ ক্ল্যাশ হতো। আর এখন কাজ নেই। বড় মাছ ছোট মাছকে গিলে খাচ্ছে। কিছু কিছু সংস্থা হলগুলোকে কিনে রেখে দিয়েছে। ছোট প্রোডিউসাররা হল পাচ্ছেন না। ফলে তারা টালিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন।”