ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মার্কিন বিদেশ দফতরে বড়সড় রদবদলের ইঙ্গিত মিলল (Donald Trump)। বৃহস্পতিবার একটি অভ্যন্তরীণ বার্তায় বিদেশ দফতরের সহকারী সচিব মাইকেল জে রিগাস জানান, খুব শীঘ্রই কর্মীদের জানিয়ে দেওয়া হবে, কার চাকরি থাকছে আর কাদের ছাঁটাই করা হচ্ছে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, শুক্রবার থেকেই ছাঁটাই সংক্রান্ত নোটিস কর্মীদের হাতে পৌঁছতে শুরু করবে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তাঁর প্রশাসনের মূল লক্ষ্য হয়েছে ব্যয় সংকোচন এবং কাঠামোগত সংস্কার। এর আগে একাধিক দফতরে কর্মী ছাঁটাই হয়েছে। যদিও এক নিম্ন আদালতের স্থগিতাদেশে এই প্রক্রিয়া কিছুদিন আটকে ছিল, তবে সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি সেই রায় খারিজ করে দিয়েছে, ফলে প্রশাসন ফের ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়ায় এগোচ্ছে।
কেন ছাঁটাই? দ্বিমত রয়েছে প্রশাসন ও বিরোধীদের মধ্যে (Donald Trump)
বিদেশ সচিব মার্কো রুবিয়ো জানান, “আমলাতন্ত্রের ফাঁস কমানো এবং আমেরিকার মূল্যবোধ ও রক্ষণশীল ভাবধারাকে রক্ষা করাই মূল উদ্দেশ্য (Donald Trump)।” তাঁর মতে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে আমেরিকার কূটনৈতিক নীতি আরও কার্যকর ও সংস্কারমুখী হবে।
তবে ট্রাম্প-বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা এর মধ্যে রাজনীতি খুঁজে পাচ্ছেন। তাঁদের অভিযোগ, ট্রাম্প প্রশাসন কৌশলে কূটনীতিক পরিসর সংকুচিত করছে, এবং যারা তাঁর মতাদর্শে বিশ্বাসী নন, তাঁদের সরিয়ে দিচ্ছে।
কোথায় হচ্ছে ছাঁটাই? (Donald Trump)
‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এর তথ্য অনুযায়ী, বিদেশে কর্মরত কূটনীতিকদের এই মুহূর্তে ছাঁটাইয়ের আওতায় আনা হয়নি (Donald Trump)। কিন্তু আমেরিকার মূল ভূখণ্ডে বিদেশ দফতরের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত প্রায় ১৮ হাজার কর্মীর মধ্যে প্রায় ১৫ শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় ২৭০০ জন কর্মী ছাঁটাইয়ের মুখে রয়েছেন।

অশান্ত সময়েই এই সিদ্ধান্ত কেন? (Donald Trump)
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধ, পশ্চিম এশিয়ার টানাপড়েন এবং ইরান-ইজ়রায়েল সংঘাতের আবহে বিদেশ দফতরে এই গণছাঁটাই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ও বিপজ্জনক বার্তা বহন করছে (Donald Trump)। বর্তমানে যখন বিশ্বজুড়ে আমেরিকার কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানো প্রয়োজন, তখন কর্মী সঙ্কোচনের এই সিদ্ধান্ত কৌশলগত দিক থেকে কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।

আরও পড়ুন: X Ceo Resigns : ইলন মাস্কের ‘এক্স’ ছাড়লেন লিন্ডা ইয়াক্কারিনো, বিতর্কের মাঝেই পদত্যাগ
ভবিষ্যতের দিশা (Donald Trump)
এই গণছাঁটাই শুধুমাত্র প্রশাসনিক ব্যয় সংকোচন, নাকি রাজনৈতিক অভিসন্ধি—তা নিয়ে এখনও দ্বিমত রয়েছে (Donald Trump)। তবে এটুকু স্পষ্ট যে, আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতির নতুন রূপরেখায় এ এক বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত। বিশেষত যদি পরবর্তী ধাপে বিদেশে কর্মরত কূটনীতিকদের দিকেও ছাঁটাইয়ের প্রভাব পড়ে, তাহলে তা আমেরিকার বৈশ্বিক কূটনীতিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারে।এখন নজর থাকছে—ট্রাম্প (Donald J. Trump) প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া এবং ঘরোয়া রাজনীতিতে এর প্রভাবের দিকে।