ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতার শিল্প ও সংস্কৃতির প্রতীক, ঐতিহাসিক কুমোরটুলি ঘাট(Historic Kumartuli Ghat) এবার পাচ্ছে নতুন রূপ। শহরের গর্ব এই ঘাটের হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়েছে আদানি গোষ্ঠী। ইতিমধ্যেই শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর কর্তৃপক্ষ (SMP Kolkata) এবং আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেড (APSEZ) এর মধ্যে এক মউ (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
নতুন সাজে সাজবে কুমোরটুলি ঘাট(Historic Kumartuli Ghat)
মউ অনুযায়ী, কুমোরটুলি ঘাটে(Historic Kumartuli Ghat) আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ তৈরি করে ঘাটকে আরও সৌন্দর্যমণ্ডিত করা হবে। পর্যটকদের কাছে এটি যেন আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে, সে লক্ষ্যেই হবে গোটা কাজ। একই সঙ্গে, ঘাটে কাজ করা স্থানীয় বাসিন্দা ও মৃৎশিল্পীরাও এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হবেন বলে দাবি করেছে আদানি গোষ্ঠী।

‘স্বচ্ছতা’ অভিযানের আওতায় প্রকল্প(Historic Kumartuli Ghat)
আদানি গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কলকাতা বন্দরের ‘স্বচ্ছতা’ অভিযানের অংশ হিসেবেই এই ঘাট পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (PPP) মডেল-এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। এছাড়াও কাজ চলাকালীন পরিবেশ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হবে। আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোনের বিজনেস ডেভেলপমেন্টের সভাপতি সুব্রত ত্রিপাঠী বলেন, “কলকাতার ঐতিহ্যের অংশ হয়ে থাকা একটি ঘাটের উন্নয়নকাজে সহায়তা করতে পারাটা আমাদের কাছে গর্বের বিষয়। এই ঘাট পর্যটনের দিক থেকে কলকাতার অন্যতম গর্ব হয়ে উঠেছে।”

আরও পড়ুন: IIM Joka: ফের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তরুণীকে যৌন নিগ্রহ, কসবা আইন কলেজের পর এবার আইআইএম জোকা
স্থাপত্য নকশা তৈরির কাজ শুরু
প্রকল্পের রূপায়ণের জন্য ইতিমধ্যেই স্থপতিরা কাজ শুরু করে দিয়েছেন। ঘাটের নতুন চেহারা কেমন হবে, কী কী সুবিধা যুক্ত হবে, তা নিয়ে চলছে পরিকল্পনা ও ডিজাইনিং-এর কাজ। এই প্রকল্প নিয়ে কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যান রথেন্দ্র রমন বলেন, “এটা কেবলমাত্র একটি ঘাট সংস্কারের কাজ নয়। বরং এই উদ্যোগ বাংলার মৃৎশিল্প ও সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করবে।”

কুমোরটুলি(Historic Kumartuli Ghat) শুধু একটি ঘাট নয়, বরং কলকাতার আত্মার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। আদানি গোষ্ঠীর এই উদ্যোগে ঘাটটি যেমন পর্যটনের নতুন ঠিকানা হয়ে উঠবে, তেমনই শিল্পী সমাজের আর্থ-সামাজিক অবস্থারও উন্নতি ঘটবে—এমনটাই আশা শহরবাসীর।
আরও পড়ুন: HC On SSC Recruitment : নম্বরের বিভাজন কার সিদ্ধান্তে হয়েছিল? এসএসসি-র থেকে জানতে চাইল হাইকোর্ট