ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বাংলাদেশের বর্তমান সরকার সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) পৈতৃক ভিটে ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করেছে। এটা যে বাঙালির কত বড় অপমান, সেটা বলে বোঝাতে হবে না। তবে চুপ থাকতে পারলেন না হিন্দি টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রূপালী গঙ্গোপাধ্যায় (Rupali Ganguly)। বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভ উগড়ে দিলেন। কী বললেন অভিনেত্রী? কেন ভাঙা হচ্ছে সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক ভিটে?
স্পষ্ট ভাষায় প্রতিবাদ (Satyajit Ray)
বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের আমলে বাঙালি শিল্পীদেরকে নিয়ে তেমন অপ্রিয় কিছু ঘটতে শোনা যায়নি (Satyajit Ray)। কিন্তু ইউনুস সরকার আসার পর থেকেই একের পর এক অপ্রিয় ঘটনা ঘটেই চলেছে। যাতে মুখ বন্ধ করে রাখা অসম্ভব। তবে অভিনেত্রী রূপালী গঙ্গোপাধ্যায় (Rupali Ganguly) স্পষ্ট ভাষায় প্রতিবাদ করলেন। এই ঘটনাকে বাঙালি জাতির অপমান বলে মনে করেন তিনি।
সরাসরি জবাব (Satyajit Ray)
ভারতরত্ন সত্যজিৎ রায় (Satyajit Ray), চলচ্চিত্র জগতে উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে তাঁর। সেখানে বাংলাদেশে তাঁর পৈতৃক ভিটেকে ভেঙে ধুলোয় মিশিয়ে দিল ইউনুস সরকার। বাঙালি হওয়ার সুবাদে অভিনেত্রী রূপালী এই ঘটনায় চুপ থাকতে পারলেন না। অভিনেত্রী রূপালী গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, মহম্মদ ইউনুসের বাংলাদেশে ভারতরত্ন সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক ভিটে ভেঙে ফেলা হচ্ছে। যা অত্যন্ত জঘন্য ও ক্ষমার অযোগ্য। তবে অভিনেত্রী মনে করেন, “এটা শুধু বাড়ি ভাঙ্গা নয়। এটা ইউনুস সরকারের বার্তা। ওরা ঐতিহ্যকে মুছে ফেলতে চায়। কারণ ওরা ভয় পায় শিল্পকে।”
আরও পড়ুন: Katrina Kaif: ক্যাটরিনার জন্মদিনে আদুরে ভিকি, পোস্ট ঘনিষ্ঠ ছবি!
সংস্কৃতিকে সম্মান না করা
অভিনেত্রী রূপালী গঙ্গোপাধ্যায়ের ( Rupali Ganguly) কথায়, ‘বাংলাদেশ বর্তমান সরকার হিংসাকে বেছে নিচ্ছে ,ওরা সংস্কৃতিকে সম্মান করতে জানে না। আর তা আরও একবার প্রমাণ করল সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক ভিটে ভেঙে। ধীরে ধীরে নিজেদের আসল রূপ প্রকাশ পাচ্ছে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের।’
আরও পড়ুন: Subhashree Ganguly: কান্নার দৃশ্যে গ্লিসারিন
আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে
বাংলাদেশে সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) পৈতৃক ভিটে ভাঙ্গা নিয়ে তোলপাড় সমাজ মাধ্যম। কারণ এই ঘটনা বাঙালি জাতির অপমান। যদিও এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে যেমন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore), সুচিত্রা সেনের ( Suchitra Sen) বাড়িতেও হাত পড়েছিল। শোনা গিয়েছে, আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) পৈতৃক ভিটে ভাঙার কাজ। আসলে এই বাড়িটি শিশু একাডেমির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। তবে কয়েক বছর আগে থেকেই বন্ধ রাখা হয়েছিল বাড়িটিকে। শিশু একাডেমির তরফ থেকেই বাড়িটি ভেঙে বহু তল করার নির্দেশ দেওয়ার কথা শোনা গিয়েছে। বাড়িটির সাথে বহু গণ্যমান্য ব্যক্তির স্মৃতি ও সম্পর্ক জড়িয়ে রয়েছে। বাংলাদেশের বহু সংবাদমাধ্যমের দাবি, বাড়িটি ভাঙার কাজ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।