ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: জুলাই মাসে NEET প্রস্তুতির সময় মৃত্যু হওয়া ছাত্রের বাবার দায়ের (Supreme Court Guideline to Safeguard Students) করা আবেদনের নিষ্পত্তি করার সময় শীর্ষ আদালতের এই আদেশ আসে।
ছাত্র আত্মহত্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ আদালতের (Supreme Court Guideline to Safeguard Students)
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় বিস্তৃত নির্দেশিকা জারি করেছে (Supreme Court Guideline to Safeguard Students)। স্কুল, কলেজ ও কোচিং সেন্টারে পড়ুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা এবং আত্মহত্যার প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আদালত। বিচারপতি বিক্রম নাথ ও সন্দীপ মেহতা-র ডিভিশন বেঞ্চ ছাত্র আত্মহত্যার প্রসঙ্গে একসঙ্গে ১৫টি বাধ্যতামূলক নির্দেশ জারি করে। এই রায় এসেছে একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে। অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে আকাশ-বাইজুস ইনস্টিটিউটে NEET কোচিং নেওয়ার সময় হোস্টেলের ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় এক ছাত্রীর। তার বাবা সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন জানান।
দুই মাসের মধ্যে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ (Supreme Court Guideline to Safeguard Students)
সুপ্রিম কোর্ট সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে নির্দেশ দিয়েছে যে, দুই মাসের মধ্যে বেসরকারি কোচিং সেন্টারগুলির জন্য বাধ্যতামূলক রেজিস্ট্রেশন, ছাত্র সুরক্ষা সংক্রান্ত নিয়ম এবং অভিযোগ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা সংক্রান্ত নিয়মাবলি জারি করতে হবে (Supreme Court Guideline to Safeguard Students)। প্রতিটি জেলায় জেলা শাসকের নেতৃত্বে একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। এই কমিটি কোচিং সেন্টারগুলির কার্যপ্রণালী, পরিদর্শন ও অভিযোগের বিষয়ে নজরদারি চালাবে।
কেন্দ্রকে ৯০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমার নির্দেশ
কেন্দ্রীয় সরকারকে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে একটি হলফনামা আকারে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে আদালত। সেখানে জানাতে হবে—নির্দেশ বাস্তবায়নের পদক্ষেপ, রাজ্যগুলির সঙ্গে সমন্বয়ের অগ্রগতি, নিয়ন্ত্রণমূলক কাঠামো তৈরি, নজরদারির পদ্ধতি এবং ছাত্রদের মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জাতীয় টাস্ক ফোর্সের রিপোর্ট কবে জমা পড়বে তার টাইমলাইন।
ছাত্রদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রাথমিক নির্দেশিকা
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, উপযুক্ত আইন না হওয়া পর্যন্ত তারা কিছু প্রাথমিক নির্দেশিকা জারি করছে, যা সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান্য করা বাধ্যতামূলক। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে উপযুক্ত হারে কাউন্সেলর নিয়োগ করতে হবে। বিশেষ করে পরীক্ষার সময় এবং একাডেমিক স্তর পরিবর্তনের সময়, শিক্ষার্থীদের জন্য ছোট ছোট দলে একজন করে পরামর্শদাতা বা ‘মেন্টর’ নির্দিষ্ট করতে হবে। তাদের কাজ হবে নিয়মিত, অপ্রাতিষ্ঠানিক এবং গোপনীয় মানসিক সহায়তা দেওয়া। এই নির্দেশিকাগুলি বাস্তবায়িত হলে দেশের শিক্ষার্থীরা আরও নিরাপদ এবং সহানুভূতিশীল শিক্ষার পরিবেশ পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।