ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ২৪ জুলাই বোধগয়ার বিহার (Bihar Incident) মিলিটারি পুলিশ মাঠে চলমান হোমগার্ড নিয়োগ অনুশীলনের সময় এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ।
নিয়োগ পরীক্ষার মাঠেই অজ্ঞান হন মহিলা (Bihar Incident)
বিহারের গয়া জেলার বোধগয়ায় গৃহরক্ষী (Home Guard) নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় এক ২৬ বছর বয়সী মহিলাকে চলন্ত অ্যাম্বুল্যান্সে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে (Bihar Incident)। অভিযোগ অনুযায়ী, ২৪ জুলাই বিহার মিলিটারি পুলিশের মাঠে শারীরিক পরীক্ষার সময় ওই মহিলা অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
অ্যাম্বুল্যান্সে ধর্ষণের অভিযোগ (Bihar Incident)
পরীক্ষার আয়োজকেরা তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানোর জন্য অ্যাম্বুল্যান্সে তোলেন (Bihar Incident)। অভিযোগ, অজ্ঞান অবস্থায় ওই মহিলাকে অ্যাম্বুল্যান্সেই একাধিক ব্যক্তি মিলে ধর্ষণ করে।
দুই অভিযুক্ত গ্রেফতার
ঘটনার পর মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে বোধগয়া থানায় এফআইআর নথিভুক্ত হয়। পুলিশের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (SIT) এবং ফরেনসিক দল তদন্তে নামে। দ্রুত তদন্তে নামে পুলিশ এবং কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দু’জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্তরা হলেন অ্যাম্বুল্যান্স চালক বিনয় কুমার এবং টেকনিশিয়ান অজিত কুমার। দু’জনই বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে এবং তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজে গাড়িটির গতিপথ ও সময়ের প্রমাণ মিলেছে।
আংশিক জ্ঞান ফেরার পর জানান মহিলা
পুলিশের কাছে জানানো অভিযোগে ওই মহিলা জানিয়েছেন, শারীরিক পরীক্ষার সময় তিনি জ্ঞান হারান এবং অ্যাম্বুল্যান্সে কী হচ্ছে তা আংশিকভাবে বুঝতে পারছিলেন। পরে তিনি হাসপাতাল ও পুলিশ কর্তৃপক্ষকে জানান, অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যে তিন থেকে চারজন ব্যক্তি তাঁকে ধর্ষণ করেছে।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস) সাংসদ চিরাগ পাসওয়ান। তিনি বিহারের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। চিরাগ বলেন, “এমন সরকারের পাশে থাকতে হচ্ছে, যেখানে অপরাধ লাগাতার বেড়ে চলেছে। এটা খুবই দুঃখজনক। অপরাধ নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে ভবিষ্যৎ আরও ভয়ঙ্কর হবে। মানুষের জীবনের সঙ্গে খেলা চলছে।”
আরও পড়ুন: Modi Maldives Visit : মালদ্বীপ সফরে মোদী!৪,৮৫০ কোটি টাকার ঋণ সহায়তা ঘোষণা
তিনি আরও বলেন, “প্রশাসন অপরাধীদের সামনে মাথা নত করে ফেলেছে। একের পর এক খুন, ধর্ষণ, গণধর্ষণ, ডাকাতি, চুরি, ইভ-টিজিংয়ের ঘটনা ঘটছে। হ্যাঁ, ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, কিন্তু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে—এই অপরাধগুলো ঘটছেই কেন?”
তিনি বলেন, “এই অপরাধগুলো যদি সরকারকে বদনাম করার জন্য হয়েও ঘটে, তাহলেও সরকারকে তা বন্ধ করতেই হবে।” এই ঘটনায় গোটা রাজ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গৃহরক্ষী নিয়োগের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়ায় এমন অপরাধ ঘটায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে বড় প্রশ্ন।