ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পহেলগাঁও হামলার পর টিআরএফ (দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট)-এর বিরুদ্ধে আমেরিকার ‘বিদেশি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী’ ঘোষণায় প্রথমে আপত্তি জানালেও সুর পাল্টাল পাকিস্তান(Pahalgam Terror Attack)। বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার ওয়াশিংটনে গিয়ে জানিয়ে দিলেন, টিআরএফকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসাবে চিহ্নিত করা আমেরিকার নিজস্ব সিদ্ধান্ত। পাকিস্তানের এতে কোনও আপত্তি নেই, তবে সন্ত্রাসে টিআরএফের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেলে তবেই পাকিস্তান ব্যবস্থা নেবে।
ওয়াশিংটনে দারের বৈঠক (Pahalgam Terror Attack)
শুক্রবার আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়োর সঙ্গে বৈঠকে বসেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী দার(Pahalgam Terror Attack)। বাণিজ্য, নিরাপত্তা, এবং সন্ত্রাসবাদ বিরোধী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের পরে দার বলেন,“টিআরএফকে বিদেশি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী ঘোষণা করা আমেরিকার সার্বভৌম সিদ্ধান্ত। আমাদের এতে কোনও আপত্তি নেই। যদি প্রমাণ থাকে যে টিআরএফ সন্ত্রাসে জড়িত, আমরা সেই প্রমাণকে স্বাগত জানাব।”
তবে দার স্পষ্ট দাবি করেন, টিআরএফের সঙ্গে লশকর-এ-ত্যায়বার কোনও যোগ নেই। তাঁর মতে, লশকরকে বহু বছর আগে পাকিস্তান ধ্বংস করেছে, নেতৃত্বকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে।
আগের অবস্থানের বদল (Pahalgam Terror Attack)
এই মন্তব্য পাকিস্তানের আগের অবস্থান থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। চলতি মাসের শুরুতে দার স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, পাকিস্তান টিআরএফকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণাকে গ্রহণ করবে না (Pahalgam Terror Attack)। তখন দারের মন্তব্য ছিল,“রাষ্ট্রপুঞ্জের (UNO) নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতিতে টিআরএফ-এর উল্লেখের বিরোধিতা করছি। পহেলগাঁওয়ের ঘটনার তদন্ত এখনও অমীমাংসিত।”
কিন্তু আমেরিকা টিআরএফকে লশকর-এ-ত্যায়বার ‘ছায়া সংগঠন’ বলে আখ্যা দিয়ে তালিকাভুক্ত করার পর ওয়াশিংটনে গিয়ে দারের সুর নরম হয়েছে।

পহেলগাঁও হামলা ও পরবর্তী পরিস্থিতি (Pahalgam Terror Attack)
২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হন। হামলার দায় প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে টিআরএফ। যদিও পরে সংগঠনটি দায় অস্বীকার করে।
ভারত এই হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে ৬ মে ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু করে। পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করা হয়। পাল্টা ভারতীয় সীমান্তে হামলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় পাকিস্তান। ১০ মে সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় দুই দেশ।
পহেলগাঁও হামলার পরপরই আমেরিকা টিআরএফকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী’ ও ‘বিশেষ আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। এই ঘোষণায় পাকিস্তান প্রথমে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এখন আর সেই আপত্তি রাখছে না।

আরও পড়ুন: Modi Maldives Visit : মালদ্বীপ সফরে মোদী!৪,৮৫০ কোটি টাকার ঋণ সহায়তা ঘোষণা
পাকিস্তানের সুরবদলের কারণ? (Pahalgam Terror Attack)
কূটনৈতিক মহলের মতে, ওয়াশিংটনে গিয়ে দারের সুরবদলের পেছনে আন্তর্জাতিক চাপ এবং পাকিস্তানের আমেরিকা-নির্ভর কূটনৈতিক কৌশল রয়েছে(Pahalgam Terror Attack)। পহেলগাঁও হামলার পর ভারত এবং আমেরিকা উভয়ই পাকিস্তানের উপর সন্ত্রাসবাদের যোগসাজশ নিয়ে তীব্র চাপ সৃষ্টি করেছে।
বৈঠকের পর মার্কো রুবিয়ো দারকে ধন্যবাদ জানিয়ে এক্স (সাবেক টুইটার)-এ লেখেন,“সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপে সহযোগিতা নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।”