ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন যে স্টারলিংক ভারতে (Starlink in India) ২০ লক্ষ ব্যবহারকারীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে, ২০০ এমবিপিএস অফার করবে এবং উচ্চ খরচের কারণে টেলিকম পরিষেবাগুলিকে প্রভাবিত করবে না এবং গ্রামীণ, প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে ফোকাস করবে।
গ্রামীণ ও দূর্গম এলাকাতেই সীমাবদ্ধ থাকবে পরিষেবা (Starlink in India)
কেন্দ্রীয় টেলিকম প্রতিমন্ত্রী পেম্মাসানি চন্দ্র শেখর জানিয়েছেন, এলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী স্টারলিংক ভারতে সর্বোচ্চ ২০ লক্ষ সংযোগ চালু করার অনুমতি পাবে। বিএসএনএলের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠকের পর তিনি বলেন, স্টারলিংকের উপস্থিতি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিএসএনএল বা অন্যান্য টেলিকম অপারেটরদের জন্য কোনও হুমকি হবে না (Starlink in India)। প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, মন্ত্রী বলেন, “স্টারলিংক ভারতে সর্বোচ্চ ২০০ এমবিপিএস গতিতে ২০ লক্ষ গ্রাহককে পরিষেবা দিতে পারবে। এতে টেলিকম পরিষেবায় কোনও প্রভাব পড়বে না।” স্টারলিংক ও অন্যান্য স্যাটকম (স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন) পরিষেবাগুলি মূলত গ্রামীণ ও দুর্গম এলাকাতেই সীমাবদ্ধ থাকবে — যেখানে বিএসএনএলের আগে থেকেই শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে।
পরিষেবার খরচ হবে অনেক বেশি, জানালেন মন্ত্রী (Starlink in India)
মন্ত্রী আরও জানান, স্যাটকম পরিষেবা স্থাপন ও ব্যবহারের খরচ অনেক বেশি হবে (Starlink in India)। মাসিক খরচ প্রায় ৩,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে, যা বহু মানুষের পক্ষে ব্যয়বহুল হবে। বিএসএনএলের অগ্রগতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএসএনএলের ৪জি পরিষেবা রোলআউট সম্পূর্ণ হয়েছে। সংস্থাটি আপাতত ট্যারিফ বাড়ানোর কোনও পরিকল্পনা করছে না। তিনি বলেন, “আমরা আগে বাজারে দখল বাড়াতে চাই। এখনই কোনও ট্যারিফ বৃদ্ধির পরিকল্পনা নেই।”
আরও পড়ুন: S-500 Air Defence Missile : ভারত আনছে রাশিয়ার এস-৫০০ ট্রায়াম্ফটর-এম! আকাশ প্রতিরক্ষায় নতুন সংযোজন
ভারতে তৃতীয় স্যাটেলাইট পরিষেবা প্রদানকারী স্টারলিংক
চলতি মাসের শুরুতেই ভারতের স্পেস রেগুলেটরি সংস্থা IN-SPACe থেকে স্টারলিংক তাদের চূড়ান্ত লাইসেন্স পেয়েছে, যার ফলে তারা ভারতে বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরু করতে পারবে। এই লাইসেন্স পাঁচ বছর পর্যন্ত বৈধ থাকবে। স্টারলিংক ২০২২ সাল থেকেই সম্পূর্ণ অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করছিল। গত মাসে টেলিকম মন্ত্রকের ছাড়পত্র পাওয়ার পরেও IN-SPACe-এর অনুমতি প্রয়োজন ছিল, যা এখন মিলেছে। এর ফলে স্টারলিংক হল ভারতের তৃতীয় স্যাটেলাইট পরিষেবা প্রদানকারী, যারা সরকারিভাবে পরিষেবা চালু করার অনুমতি পেল। এর আগে ইউটেলস্যাটের ওয়ানওয়েব ও রিলায়েন্স জিও অনুমোদন পেয়েছে। তবে এখনও স্টারলিংককে ভারত সরকারের কাছ থেকে স্পেকট্রাম পেতে হবে, গ্রাউন্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার তৈরি করতে হবে এবং নিরাপত্তা মানদণ্ড পূরণ করে পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: Indian Railways : ভারতীয় রেলে কত জন যাত্রা করেছে গত পাঁচ বছরে? পরিসংখ্যান প্রকাশ করল রেল!
পরিষেবার সম্ভাব্য খরচ ও বিতরণ পদ্ধতি
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে স্টারলিংকের মূল্য নির্ধারণ স্থানীয় বাজার ও আন্তর্জাতিক খরচ অনুযায়ী হবে। সরঞ্জামের কিটের দাম প্রায় ৩৩,০০০ টাকা হতে পারে এবং মাসিক পরিষেবার খরচ ৩,০০০ টাকা থেকে ৪,২০০ টাকার মধ্যে হতে পারে। এই দাম বাংলাদেশ ও ভুটানে স্টারলিংকের সদ্য চালু হওয়া পরিষেবার মতোই। স্টারলিংক তাদের কিট বিক্রি করবে টেলিকম পার্টনার ভোডাফোন আইডিয়া ও রিলায়েন্স জিওর মাধ্যমে, যারা এপ্রিল মাসে স্টারলিংকের সঙ্গে বিতরণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।