Last Updated on [modified_date_only] by Shroddha Bhattacharyya
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আফগানিস্তানে ফের একবার প্রাকৃতিক (Afghanistan Earthquake) বিপর্যয়। রিখটার স্কেলে ৬.৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প কাঁপিয়ে দিল দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১০-এ, আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে চাপা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন।
কখন হয় এই কম্পন? (Afghanistan Earthquake)
ভূমিকম্পটি অনুভূত হয় রবিবার মধ্যরাতে, ভারতীয় সময় অনুযায়ী প্রায় রাত (Afghanistan Earthquake) পৌনে ১টা নাগাদ। কম্পনের উৎসস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে। আফগানিস্তানের কুনার প্রদেশে মূল কম্পন অনুভূত হলেও কম্পনের প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে নানগরহার, জালালাবাদ, এমনকি ভারতের জম্মু-কাশ্মীর এবং দিল্লির আশেপাশের এলাকাতেও।
বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা! (Afghanistan Earthquake)
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জালালাবাদের নিকটবর্তী একটি গ্রামে (Afghanistan Earthquake) মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩০ জনের। নানগরহার প্রদেশে আরও ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। আশেপাশের আরও বেশ কয়েকটি দুর্গম গ্রামে মৃত ও আহতের সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
আফগান স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মুখপাত্র শরাফাত জামান জানিয়েছেন…
আফগান স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মুখপাত্র শরাফাত জামান জানিয়েছেন, উদ্ধারকারী দলগুলি দুর্গম এলাকায় পৌঁছাতে হিমশিম খাচ্ছে। ফলে হতাহতের সঠিক পরিসংখ্যান এখনই জানানো সম্ভব নয়। তিনি বলেন, “পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। অনেক এলাকা এখনো উদ্ধারকারীদের আওতার বাইরে। তবে উদ্ধারকাজ পুরোদমে চলছে।”
পাখতুনখোয়ার পার্বত্য অঞ্চলেও ভূমিকম্প অনুভূত
এদিকে পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়ার পার্বত্য অঞ্চলেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সেখানেও উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। প্রাদেশিক সরকারের তথ্য প্রধান নাজিবুল্লাহ হানিফ জানিয়েছেন, “শয়ে শয়ে আহত মানুষকে ইতিমধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।”

আরও পড়ুন: Afghanistan Earthquake: আবারও ভয়াল ভূমিকম্পে কাঁপল আফগানিস্তান!
উল্লেখ্য, আফগানিস্তান ভূমিকম্পপ্রবণ একটি দেশ। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা সংলগ্ন অঞ্চলটি ভারতীয় এবং ইউরেশীয় টেকটনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত হওয়ায় এই ধরনের কম্পনের ঝুঁকি থেকেই যায়। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরও ঠিক এমনই একটি ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে দেশের একাংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল।