ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ব্রামটনের হিন্দু সভা মন্দির। সেই মন্দিরের বাইরেই হিন্দুদের উপরে হামলা চালায় খালিস্তানি সমর্থকরা। তাদের হাতে হলুদ রঙের খালিস্তানি পতাকা ছিল। চরমে কূটনৈতিক বিবাদ। তারই মাঝে কানাডায় আক্রান্ত হিন্দুরা। তাও বার মন্দিরে। (India-Canada row) কানাডার ব্রামটনে হিন্দু সভা মন্দিরে আগত একদল ভক্তদের উপরে হামলা হয়। অনুমান, খালিস্তানি সমর্থকরা এই হামলা চালিয়েছে। এদিকে, হামলার খবর পেয়েই নিন্দা করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনি বলেছেন, “কোনও ধরনের হিংসামূলক আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়”।
জানা গিয়েছে, ব্রামটনের হিন্দু সভা মন্দির, যা ৫৫ ফুটের হনুমান মূর্তির জন্য বিখ্যাত, সেই মন্দিরের বাইরেই হিন্দুদের উপরে হামলা চালায় খালিস্তানি সমর্থকরা। তাদের হাতে হলুদ রঙের খালিস্তানি পতাকা ছিল। মন্দিরের গেটেই মারপিট শুরু হয়। লাঠি দিয়ে হিন্দু ভক্তদের উপরে হামলা করতে দেখা যায় খালিস্তান সমর্থকদের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। শুরু হয়েছে তুমুল তরজা।
আরও পড়ুন: Canada Temple Attack: কানাডায় ফের আক্রমণ হিন্দু মন্দিরে! চাপে ট্রুডো
আরও পড়ুন: মোদীর সামনে হাঁটু ভেঙে বসে আত্মসমর্পণ শি জিনপিং-এর, ভাইরাল AI জেনারেটেড ফটো
অনেকেই কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকেই দুষেছেন খালিস্তানিদের নিরাপদ আশ্রয় ও সমর্থন করার জন্য। এহেন অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে নামেন খোদ প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ” ব্রামটনে হিন্দু সভা মন্দিরে হিংসার যে ঘটনা ঘটেছে, তা কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য় নয়। প্রত্যেক কানাডাবাসীর স্বাধীন ও নিরাপদভাবে ধর্মচারণের অধিকার রয়েছে।”
আরও পড়ুন: ইজরায়েলের আক্রমনের কড়া জবাব দেবে ইরান! প্রস্তুতি শুরু
প্রসঙ্গত, খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের মৃত্যুর পর থেকেই ভারত-কানাডার মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। নিজ্জরের মৃত্যুতে ভারতের সক্রিয় ভূমিকা পালন রয়েছে, সংসদে দাঁড়িয়ে এ কথাই বলেছিলেন জাস্টিন ট্রুডো। ভারত সরকারের তরফে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়। এরপর দ্বন্দ্ব, কূটনৈতিক টানাপোড়েন, আধিকারিকদের প্রত্যাহার থেকে শুরু করে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।