ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ৩৬তম জন্মদিনের (Virat Kohli 36th Birthday) আগে নিজের সেরা ফর্মে ছিলেন না বিরাট কোহলি। ভারত ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে তিন টেস্টের সিরিজ ০-৩ ব্যবধানে হেরেছে। তবে গত বছর মাঠে নিজের অন্যতম সেরা জন্মদিন উপভোগ করেন প্রাক্তন এই অধিনায়ক। কিংবদন্তি ব্যাটার এবং নিজের আইডল শচীন টেন্ডুলকারের ওডিআই সেঞ্চুরির সর্বকালের রেকর্ডের সঙ্গে সমান হয়েছে তাঁর রেকর্ড। ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে ৪৯তম সেঞ্চুরি করে শচীনকে ছুঁয়ে ফেলেন তিনি।
৩৫-এ মাইলফলক (Virat Kohli 36th Birthday)
বিরাট কোহলির মাইলফলকের মুহূর্তটি তাঁর ৩৫তম জন্মদিনের (Virat Kohli 36th Birthday) সঙ্গে মিলে গিয়েছিল। এর আগে তিনি দুটি সুযোগ হাতছাড়া করেছিলেন। ধর্মশালায় নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৯৫ রানে আউট হন এবং মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৮৮ রানে আউট হন।
শচীন টেন্ডুলকার এবং বিনোদ কাম্বলির পর বিরাট কোহলি তার জন্মদিনে ওডিআই সেঞ্চুরি করা তৃতীয় ভারতীয় ব্যাটার হয়েছিলেন।
ভাঙল শচীনের রেকর্ড (Virat Kohli 36th Birthday)
এর ১০ দিন পরে, ৫০তম শতরান করে শচীনের রেকর্ড ভেঙে দেন তিনি। মুম্বইয়ের আইকনিক ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ম্যাচে ঐতিহাসিক নকটি এসেছিল। কিন্তু ৩৬তম জন্মদিনে এরকম কোনও ঘটনা ঘটেনি। উলটে নিউজিল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশের হতাশা চেপে ধরেছে সবাইকেই।
আরও পড়ুন: Sana Ganguly Birthday: টেমসের তীরে মেয়ে সানার জন্মদিন, সৌরভ-ডোনা যা করলেন!
নিউজিল্যান্ড সিরিজ
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে রোহিত ছয় ইনিংসে ৯১ রান করেন এবং কোহলি হাফ সেঞ্চুরি সহ ৯৩ রান করেন। এতটাই চাপে রয়েছে ভারত যে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে তারা দলে কোনও বিশাল পরিবর্তন করতে পারবে না। ইতিমধ্যেই ঘোষিত স্কোয়াড নিয়েই ভারতকে জয়ের জন্য ঝাঁপাতে হবে।
বিরাটের ফেরার মঞ্চ
রোহিত ব্যক্তিগত কারণে পার্থ টেস্ট মিস করতে পারেন এবং প্রতিটি চোখ, আশা এবং প্রত্যাশা থাকবে বিরাটের উপর। মনে করা হচ্ছে যে এটাই তাঁর কেরিয়ারের শেষের শুরু। কোহলি স্পষ্টভাবেই রান পাওয়ার জন্য লড়াই করছেন। তার শেষ টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল ২০২৩ সালের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। কিন্তু ভারতের স্পিন ট্র্যাক থেকে অস্ট্রেলিয়ার বাউন্সি এবং সিমিং কন্ডিশনে পড়লে সেটা কোহলির ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য ভালো হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
কোহলির বৃত্ত সম্পূর্ণ
এটা মনে করা হচ্ছে যে কোহলির জন্য জীবনের বৃত্তে সম্পুর্ন হয়েছে। ২০১১-১২ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে টেস্ট দলে তার নিজের জায়গা পাকা করতে তিজেকে প্রমাণ করতে হয়েছিলও। সেই সময়ে তিনি লাল বলের খেলায় নতুন ছিলেন।
১৩ বছর পরে ঠিক এর বিপরীত ঘটনা ঘটছে। কোহলি অন্য সিনিয়র পেশাদারদের মতো এবার আসতে আসতে দলের বাইরে চলে যাবেন এবং এখন তাঁকে ফের প্রমাণ করতে হবে যে তিনি এখনও প্রথম একাদশে জায়গা পাওয়ার যোগ্য।
আরও পড়ুন: New Zealand tour of India 2024: ২৪ বছর পর ঘরের মাঠে চুনকাম ভারত, ১২১-এ ফের লজ্জার হার রোহিত-বিরাটদের
২০১১-এ ছিল কম বয়সের কোহলি, যিনি বিখ্যাত ছিলেন মাঠে বিপক্ষের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার জন্য। শতরান করে আনন্দে লাফিয়ে ওঠার জন্য। কিন্তু এই কোহলি দুই সন্তানের পিতা, ইতিমধ্যেই টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন, আচরণে অনেক শান্ত কিন্তু খেলার প্রতি একই আবেগ এবং রানের ক্ষুধা রয়েছে।
যারা নেতিবাচকভাবে ভাববেন তাঁদের আঙুল তুলে প্রশ্ন করার অধিকার রয়েছে কোহলিকে। কিন্তু প্রশ্নের জবাবে কোহলিই প্রথম ব্যক্তি হবে যিনি স্বীকার করবেন যে তিনি দলের যথেষ্ট করতে পারেননি শেষ কিছু দিনে, যা সারাজীবন তার অগ্রাধিকার ছিল। যদিও অস্ট্রেলিয়া কোহলির জন্য সেরা জায়গা এবং সিরিজ হতে পারে এটা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য যে আসল বস কে।
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলের মাধ্যমে যুক্ত হন আমাদের সঙ্গে। ক্লিক করুন এখানে।
ফিরবেন রাজা
গত বছরের এই দিনেই, কোহলি ইডেন গার্ডেনে দর্শকদের বিনোদন দিয়েছিলেন এবং ভারতের জন্য একটি চাঞ্চল্যকর বিশ্বকাপ অভিযানের মাঝেই ওডিআই ক্রিকেটে তার নিজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলেছিলেন। কিন্তু বিশ্বকাপের শেষটা খুব ভালো ছিল না। কিন্তু জীবন এমনই।
কোহলি ও কোহলিজমের বিগত ১৫ বছর অসাধারণ ছিল। তাকে সঠিক কারনেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠদের একজন হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং কোহলি দর্শকদের মধ্যে কোনও অনুশোচনা বা খারাপ ছবি রেখে যেতে আগ্রহী হবেন না। ভালো-খারাপ সময় একটা পর্যায় মাত্র! ৩৬ নট আউট কোহলি রাজা ছিলেন, রাজা থাকবেন।