ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ‘বহুরূপী’র (Bohurupi) জনপ্রিয়তা দেখে সবাই বলাবলি করছে। টলিউডের নাকি বক্স অফিসের হাল ফিরে গেল। ঠিক কোন ইউএসপি-তে বাজিমাত করল বহুরূপী? সাম্প্রতিক সময়ে নিশ্চয়ই দেখেছেন বহু দর্শকই কিন্তু টলিউড থেকে মুখ মিলিয়ে ছিলেন। বলিউড কিংবা দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির মতো টলিউডের বাজেট নেই ঠিকই। কিন্তু চলতি পুজোর মরশুমে বক্স অফিসে বাংলা সিনেমা তার কামাল দেখাল।
রয়ে গিয়েছে রেশ (Bohurupi)
বহুরূপীর (Bohurupi) রেশ দীপাবলির পরেও রয়েছে। একদিকে যখন বলিউডে চলছে ‘সিংঘম এগেইন’ আর ‘ভুলভুলাইয়া ৩’ এর দৌরাত্ম্য। তখনও কিন্তু দর্শকদের মন জয় করে নিচ্ছে বহুরূপী। নন্দিতা-শিবপ্রসাদের(Nandita Roy and Shiboprosad Mukherjee) হাত ধরেই বাংলা সিনেমায় যেন সুদিন ফিরে এল। অনেকে এমনটাই বলছেন।
আরও পড়ুন: Kanchan Mullick: হাসপাতালে রাত জাগছেন কাঞ্চন! হঠাৎ কী হল শ্রীময়ীর?
কত টাকার ব্যবসা? (Bohurupi)
৮ অক্টোবর, তখন দুর্গাপুজোর পঞ্চমী। বহুরূপী (Bohurupi) সিনেমাটি প্রায় এক মাসে ব্যবসা করে ফেলেছে প্রায় ১৩ কোটি টাকা। ক্যাশ বাক্স উপচে পড়ছে। সিনে সমালোচক বলুন কিংবা দর্শক। সবাই নন্দিতা শিবপ্রসাদের এই ছবির প্রশংসাই করছেন। ব্যাঙ্ক ডাকাতির গল্প নিয়ে তৈরি এই সিনেমা একটু অন্য ধাঁচের। বছরে সেরা বাংলা সিনেমার তকমা তো পেলই। উপরন্তু সর্বোচ্চ আয় করা সর্বকালীন বাংলা ছবির তালিকায় নাম লিখিয়ে ফেলল, মাত্র পাঁচ নম্বরে।
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলের মাধ্যমে যুক্ত হন আমাদের সঙ্গে। ক্লিক করুন এখানে।
মিল পাচ্ছেন অনেকে
গ্রাম বাংলার দর্শক সিনেমার গল্পের সঙ্গে নিজেদের যেন মিল পাচ্ছেন। পর্দায় গ্রাম বাংলার ছবি তুলে ধরা হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই ছবির সঙ্গে মানুষ নিজেদেরকে একাত্ম করেছেন। নিজেদেরকেই খুঁজে পাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হয়ত বা এই কারণেই এখনও পর্যন্ত বক্স অফিসে ছক্কা হাঁকিয়ে চলেছে বহুরূপী। করোনা মহামারীর পরবর্তী সময়ে, টলিউডের বক্স অফিসকে বেশ ভালো ফল দিয়েছিল দেবের টনিক। তারপর একাধিক সিনেমা তৈরি হয়েছে। কিন্তু বাংলা সিনেমা সেভাবে মোটা অঙ্কের লাভ দেখেনি। তবে বহুরূপী (Bohurupi) বলছে অন্য কথা। দর্শকদের মন চুরির পাশাপাশি চাঙ্গা করে দিল বাংলা সিনেমার বক্স অফিসকে।
আরও পড়ুন: Abhishek-Aishwarya Divorce: ঐশ্বর্য-অভিষেকের ডিভোর্স হচ্ছে না, অবশেষে মুখ খুললেন নিমরত
রাজনীতি এবং শ্রেণীশত্রু
একদিকে এই ছবি রাজনীতির কথা বলছে। অপরদিকে চিনিয়ে দিচ্ছে শ্রেণীশত্রুদের। প্রতিবাদের ভাষা শেখাচ্ছে। দেখিয়ে দিল, কিভাবে গরীব মানুষ শাসকের চক্রব্যূহে প্রবেশ করে। শুধুমাত্র একটা ক্লাইম্যাক্স নয়। পরতে পরতে রয়েছে রহস্য আর তার উত্তেজনা। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত, একের পর এক রুদ্ধশ্বাস মুহূর্ত। দর্শক বারংবার দ্বিধায় পড়ে যান, কাকে সমর্থন করবেন, আর কাকে ভালবাসবেন। ব্যাঙ্ক ডাকাত বিক্রমকে, নাকি এএসআই সুমন্তকে।
কলাকুশলী
ছবির মুখ্য ভূমিকা রয়েছেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Shiboprosad Mukherjee), আবির চট্টোপাধ্যায় (Abir Chatterjee), ঋতাভরী চক্রবর্তী (Ritabhari Chakraborty) আর কৌশানী মুখোপাধ্যায় (Koushani Mukherjee)। ছবিতে এক দিকে যেমন দুর্দান্ত রুপে তুলে ধরা হয়েছে বহুরূপীদের কথা। অপরদিকে রয়েছে বাস্তবের ব্যাঙ্ক ডাকাতের গল্প। ভালোবাসা প্রতিশোধ আর তীব্র শত্রুতা মিলেমিশে এক হয়ে গিয়েছে বহুরূপীতে। প্রত্যেকের অভিনয়ে চমকে গিয়েছেন মানুষ। বাংলা গল্পের ঐতিহ্যে মিশেছে আধুনিক প্রযুক্তি। স্বাভাবিক ভাবেই দর্শক এই ছবি দেখে নতুন অভিজ্ঞতা পাচ্ছেন।