ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর অন্যতম প্রাচীন একটি বারোয়ারি হল চন্দননগর বাগবাজার সার্বজনীন। ১৯০ বছরে পদার্পণ করেছে তাদের জগদ্ধাত্রী পূজার (Jagadhatri Puja) বয়স। প্রতিবছরই মানুষ অপেক্ষায় থাকেন বাগবাজারের ঠাকুর দেখার জন্য, এটি নাকি চন্দননগরের সেন্টিমেন্ট! তবে এই বছর সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল সমালোচনার ঝড় উঠেছে বাগবাজারের প্রতিমা নিয়ে। যে আভিজাত্য বাগবাজার এত বছর করে এসেছে তাদের প্রতিমায় তার নাকি শিখি ভাগ টুকু হয় নি। তবে তাতেই গর্ববোধ করছেন বাগবাজার জগদ্ধাত্রী পুজোর পুজো উদ্যোক্তারা।
সোশ্যাল মিডিয়ার সমস্ত বিতর্ক উড়িয়ে দিয়ে বাগবাজার পুজো কমিটি বলছেন তারাই একমাত্র পারেন এই কাজ করতে। কারণ এই বছর যে বাগবাজারের প্রতিমা বানিয়েছে তার বয়স মাত্র ১৫ বছর। চন্দননগর বঙ্গ বিদ্যালয়ের ক্লাস নাইনের ছাত্র অনিকেত পালের হাতে তৈরি হয়েছে এই বছরের বাগবাজারের প্রতিমা (Jagadhatri Puja)। পুজো উদ্যোক্তারা মনে করছেন, ঠাকুরের মাপ ঝোপে একটু ভুল হলেও ১৫ বছরের কিশোরের হাতে মায়ের মৃন্ময়ী রূপ দান হয়েছে, এই সাহসিকতার কাজ একমাত্র বাগবাজার সার্বজনীনই করতে পারে।
আরও পড়ুন: সুধা-তেজ আরও কাছাকাছি, শুভ বিবাহে আসছে নতুন টুইস্ট
আরও পড়ুন: বদলে গেল অহনার মুখ, শ্যামলী-অনিকেতের জীবনে নতুন মোড়!
খুদে মৃৎশিল্পী অনেকের চন্দননগরেরই বাসিন্দা। চন্দননগর ডুপ্লেক্স পট্টি থেকে এগিয়ে আসলে যে পালপাড়া সেখানেই বাবার থেকে মাটির কাজ শিখছে অনিকেত। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বাগবাজারের ঠাকুর বানিয়ে আসছিলেন অনিকেতের দাদু। দাদুর মৃত্যুর পরে সেই দায়িত্ব এসে পড়ে নাতির কাঁধে। প্রথম বছর এত বড় ঠাকুর বানানোর দায়ভার এসে পড়েছিল ক্লাস নাইনের এই পড়ুয়ার উপর। সে চেষ্টা করেছে তার সবটুকু দিয়ে(Jagadhatri Puja)। তবে দর্শনার্থীদের চোখে হয়তো তার কাজ সেভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেনি সেই নিয়ে ক্ষুদে কিশোরের মনে দুঃখ রয়েছে বিস্তর। তবে আগামী দিনে সে তার কাজ আরও ভালো করে তুলে ধরে তার শৈল্পিক সত্ত্বা ফুটিয়ে তুলতে চান মানুষের কাছে।