ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: রাজ্যে এসে ১ কোটি সদস্য করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দিয়েছেন অমিত শাহ। আর সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে চাপ বাড়ছে বঙ্গ বিজেপির (BJP) ওপর। কার্যত সব কাজ ছেড়ে এখন সেই কাজই চালিয়ে যাচ্ছেন সুকান্ত মজুমদাররা। তবে তাতেও ১ কোটি পূরণ হওয়া সম্ভব কিনা তা নিয়ে দোলাচল দলের মধ্যেই।
বঙ্গ বিজেপিতে (BJP) চলছে এখন সদস্য সংগ্রহের কাজ। দলের ওপর থেকে নীচুতলাকে কঠোরভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে লক্ষ্যমাত্রা যেভাবেই হোক পূরণ করতে হবে। কারণ রাজ্যে ঝটিকা সফরে এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit shah) এবার এককোটি লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে। ফলে সেই লক্ষ্যমাত্রা যেভাবেই হোক পূরণ করতে হবে। না হলে দিল্লির কাছে মুখ পুড়বে বঙ্গ শিবিরের। এমনতেই সংগঠনের হাল যে খুব ভালো তেমন নয়, এই ফিসফাস দলের অন্দরে রয়েছে। সদ্য সমাপ্ত ৬টি কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপির দখলে থাকা একমাত্র মাদারিহাটও এবার তাদের দখলে থাকবে কিনা তা নিয়ে সন্দহে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘এখনই দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন নয়’, রাম মন্দির ইস্যুতে ঘুরিয়ে বিজেপিকে খোঁচা মুখ্যমন্ত্রীর
বিভিন্ন বিষয়ের আরএসএসের সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে রাজ্য বিজেপিকে (BJP)। তবে সমস্যার সমাধান হয় নি, এই অবস্থায় ১ কোটি সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা যেন গোদের ওপর বিষফোঁড়া। ৩০ নভেম্বর সদস্য সংগ্রহের শেষদিন। এই সময়ের মধ্যে এককোটি কার্যত অসম্ভব বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Kasba News: সুশান্ত ঘোষকে গুলি করে খুনের চেষ্টা, অভিযুক্তের ১৩ দিনের পুলিশি হেফাজত
ইতিমধ্যে প্রতিদিন কতজন সদস্য হচ্ছে তার হিসেব দেওয়াও বন্ধ করে দিয়েছে পদ্ম নেতৃত্ব। দলের মধ্যেই প্রশ্ন কেন ১ কোটির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হল, প্রশ্ন বছর কয়েক আগে মিসড কল দিয়ে ৮২ লক্ষের মত সদস্য করা হয়েছিল। তার মধ্যে ৪৮ হাজারের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। যেহেতু দৈনিক হিসেব দেওয়া হচ্ছে না কত সদস্য হচ্ছে, তাই আরও প্রশ্ন উঠছে তবে কী সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আনা হয়েছে।