ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বাংলাদেশে থামছে না হিন্দু নির্যাতন। প্রতিনিয়িত প্রকাশ্যে আসছে মারধর, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা। এই পরিস্থিতিতে মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের উপর চাপ বাড়াতে চলেছে ভারত সরকার। আগামী সপ্তাহেই বাংলাদেশ সফরে যেতে পারেন ভারতের বিদেশ সচিব, বিক্রম মিশরি।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর, চলমান অশান্তি নিয়ে সম্ভবত এই প্রথমবার বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠকে বসতে চলেছে দুই দেশ। কারণ, দিন যত যাচ্ছে পড়শি দেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার নিপীড়ন ভয়ঙ্কর চেহারা নিচ্ছে। উঠে এসেছে বহু অভিযোগ। অত্যাচারের বিরুদ্ধে ও সমানাধিকারের দাবিতে ইতিমধ্যেই বহুবার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ জানিয়েছে সে-দেশের সংখ্যালঘুরা।
পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে চলেছে বাংলাদেশের মুসলিম মৌলবাদী কট্টরপন্থীরা। ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিও তুলেছিল তারা। দেওয়া হয়েছিল খুনের হুমকিও। পদ্মাপাড়ের এই পরিস্থিতি নিয়ে বিধানসভায় মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়ে সংসদে সরব হন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
আরও পড়ুন:https://tribetv.in/joynagar-verdict-within-2-months-of-incident/
বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের এই পরিস্থিতি নিয়ে সংসদে সরব হয়েছেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারও। যদিও বাংলাদেশে এভাবে সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়ন নিয়ে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে পাল্টা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগেছেন তিনি। তিনি নিশানা করেছেন তূণমূলের ভোটব্যাঙ্ককে। বাংলাদেশে বেছে বেছে হিন্দুদের উপর আক্রমণের ঘটনায় চুপ নেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারও। বাংলাদেশে দ্রুত শান্তি ফেরানোর পক্ষেও দিয়েছেন বার্তা।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এই চরম উত্তেজনার মধ্যে ওপার বাংলায় সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে এপার বাংলা যে চুপ থাকবে না, তা স্পষ্ট হচ্ছে প্রতিদিন-প্রতিমুহুর্তে। ভারত বিমুখ হলে অর্থনৈতিক ভাবে বাংলাদেশ যে বিপন্ন হবে, তা কি বুঝছে অনভিজ্ঞ ইউনূস সরকার? উদ্বিগ্ন ওপার বাংলার গণতন্ত্র প্রিয় মানুষজন, উদ্বেগে এপার বাংলাও।