ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ছিল বেশ কিছু দিনের সম্পর্ক (RELATIONSHIP)। সব কিছুই প্রায় ভাল চলছিল। কিন্তু হঠাৎ শুরু হয় প্রেমিক এবং প্রেমিকার মধ্যে অশান্তির রেশ (Revenge of blackmail)। সেই রাগে প্রেমিকের যৌনাঙ্গই কেটে দিলেন তরুণী (cut off her lover’s genitals)। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল শুক্রবার হাওড়ার ডোমজুড় থানা এলাকায়। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যুবককে ভর্তি করানো হয়েছে হাসপাতালে। অন্যদিকে, খুনের চেষ্টার অভিযোগে ডোমকল থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার তরুণী। সবমিলিয়ে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে জখম যুবকের নাম আব্দুর রহমান। অভিযুক্ত প্রেমিকার নাম সোমাইয়া খাতুন। আব্দুর এবং সোমাইয়ার দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক এমনটাই সূত্রের খবর। দুই বাড়িই তাদের সম্পর্কের কথা জানত। কিন্তু সম্প্রতি দু’জনের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। তার মধ্যেই শুক্রবারের ওই ঘটনা নাড়িয়ে দিল সমাজকে। জানা যাচ্ছে, শুক্রবার রাতে প্রেমিককে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠান ওই তরুণী। সেই মতো মেয়ের বাড়িতে হাজির হন আব্দুর। দু’জনে বেশ কিছু ক্ষণ কথাবার্তা বলেন। গল্প করতে করতে আব্দুরকে বাড়ির কাছে বাগানে নিয়ে যান সোমাইয়া সেখানেই একটি গাছে প্রেমিকের হাত-পা বেঁধে, চোখ বেঁধে করলেন এই কাণ্ড (Revenge of blackmail)। তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রেমিকের যৌনাঙ্গে কোপ বসান তরুণী।
আরও পড়ুন: Missing Hearse: আসার কথা ছিল হাসপাতালে, শবদেহ নিয়ে রাস্তা থেকেই গায়েব শববাহী গাড়ি!
আরও পড়ুন: Hooghly News: গাছ চিনতে QR Code! এক ক্লিকেই ইতিহাস
যুবকের চিৎকার-চেঁচামেচিতে ছুটে আসেন আশপাশের লোকজন। রক্তাক্ত অবস্থায় যুবককে দেখে চমকে যান সকলেই। যদিও এরপর তরুণী স্বীকার করে নিয়েছেন যে তিনিই কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। তারা সোমাইয়াকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় সোমাইয়া জানিয়েছেন, তাঁকে ব্ল্যাকমেল (blackmail) করতেন প্রেমিক। তাই তাঁকে জব্দ করতে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি। যদিও কী নিয়ে ব্ল্যাকমেল (Revenge of blackmail) করা হয়েছিল তাঁকে, তা বিস্তারিত ভাবে জানা যায়নি। হাওড়া সিটি পুলিশের (HOWRAH CITY POLICE) ডিসিপি DCP SOUTH (দক্ষিণ) সুরিন্দর সিংহ জানিয়েছেন, ‘‘হাওড়ার ডোমজুড় থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগ পাওয়ার পরই ডোমজুড় থানার পুলিশ আধিকারিকেরা তদন্ত শুরু করেছেন। চিকিৎসার জন্য ওই যুবককে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। তাঁর প্রেমিকাকে পুলিশ গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন।