ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বুধবার মহালয়ার সকালে বাঁশদ্রোণীতে পড়ুয়ামৃত্যু ঘিরে তৈরি হওয়া উত্তেজনা জিইরে রইল সকাল পর্যন্ত। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে রাতভর বাঁশদ্রোণী থানার সামনে ধর্নায় বসেন বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। মূল অভিযুক্তদের পালাতে সাহায্য করেছে পুলিশ, বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে সারারাত ধর্নার পর সকালে বিজেপি নেত্রীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। । আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয় বলে খবর। পরবর্তীতে ধৃত বিজেপি নেত্রীকে বাঁশদ্রোণী থানা থেকে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে।

বুধবার সকাল ৭টা নাগাদ কোচিং সেন্টারে যাওয়ার পথে পে লোডারে পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় নবম শ্রেণীর পড়ুয়া সৌম্য শীলের। বাঁশদ্রোণীর দীনেশ নগরের ১১৩ নং ওয়ার্ডের রাস্তা সাড়াইয়ের কাজ চলাকালীন ঘটে দুর্ঘটনা। জানা গেছে, অটো স্ট্যান্ডের সামনে একটি গাছের গোড়ায় সাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়েছিল পড়ুয়া। পে লোডার বা জেসিবিটি যাওয়ার সময় পড়ুয়াকে ধাক্কা মারে। গুরুতর জখম অবস্থায় রাস্তাতেই লুটিয়ে পড়ে সে। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে নবম শ্রেণির পড়ুয়াকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/durga-puja-special-metro-in-kolkata/
প্রসঙ্গত, পুলিশকে হেনস্থার ঘটনায় বিজেপি নেত্রী রুবি মণ্ডল-সহ মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরই মধ্যে বুধবার রাতে বাঁশদ্রোণী থানায় পৌঁছে যান বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। নেতৃত্বে রূপা। থানার ভিতরে প্রবেশ করেন তিনি। বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, কোনও অভিযোগ ছাড়াই বিজেপি নেত্রী রুবিকে আটক করে বাঁশদ্রোণী থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের কাউকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। এই ঘটনার প্রতিবাদে বাঁশদ্রোণী থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপি।

বুধবার ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও তার দায় এড়িয়েছেন প্রশাসন থেকে স্থানীয় কাউন্সিলর। কিন্তু, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে ধর্না দেওয়ায় গ্রেফতার করা হল প্রতিবাদকারী বিজেপি নেতৃত্বদের। যানিয়ে ফের নতুন করে তৈরি হয় উত্তেজনা। বৃহস্পতিবার সকালেও থানা চত্বরে বসে বাঁশদ্রোণীর ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।