ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর দিনটিকে রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। মানবাধিকার বিষয়ে বিশেষ অবদানের জন্য পুরস্কৃত হলেন বাংলার বিশিষ্ট মানবধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডঃ বরুন কুমার দাশ।
সারা পৃথিবী জুড়ে শিক্ষার ক্ষেত্রে মানবাধিকার রক্ষায় হিউম্যান রাইটস ইন এডুকেশন চালু হয়। ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবসকে মাথায় রেখে প্রতি বছর দেশের বিশিষ্ট মানুষদের পুরষ্কৃত করে নয়া দিল্লির ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ হিউম্যান রাইটস প্রতিষ্ঠান। মানবাধিকার শিক্ষার বিস্তার, বিভিন্ন আদালত ও কমিশনে মানবাধিকার রক্ষার আইনি বিষয়ে পরামর্শ এবং মামলা করে মানুষের জীবনযাত্রা রক্ষায় আইনি সহায়তার জন্য এবছর ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ হিউম্যান রাইটসের উদ্যোগে ‘গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস প্রটেকশান অ্যাওয়ার্ড’ তুলে দেওয়া হয় বরুন কুমার দাশের হাতে।
মানবধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডঃ বরুন কুমার দাশ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অতিথি অধ্যাপক। কলকাতা হাইকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবীও তিনি। মানবাধিকার বিষয়ে হিউম্যান রাইটস ল এন্ড ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স নিয়ে একটি বই লিখেছেন যেটি ইতিমধ্যেই এলাহাবাদের ‘সেন্ট্রাল ল এজেন্সি’ প্রকাশ করেছে। সারা দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মানবাধিকার বিষয়ে পঠনপাঠন হয় যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেখানে পড়ানো হচ্ছে তাঁর বই।
মঙ্গলবার বিশ্ব মানবধিকার দিবসের দিন দিল্লির ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশানাল সেন্টারে ২৪ তম বিশ্ব মানবধিকার কংগ্রেসের অনুষ্ঠানে তাকে ‘গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস প্রোটেকশন অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ তুলে দেন সংস্থার নির্দেশক ড.রাহুল রাই। পুরষ্কার পেয়ে খুশি বরুন দাশ বলেন, ”মানবধিকার রক্ষায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছেন। এই পুরষ্কার তার কাজের স্বীকৃতি।”
এর আগেও অটল বিহারী বাজপেয়ী সহ বহু বিশিষ্ট মানুষকে সম্মানিত করেছে এই প্রতিষ্ঠান। সেই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাঁকে যে সম্মান দেওয়া হল তাতে তিনি আরও বেশি মানুষের জন্যে, মানুষের অধিকার রক্ষায় কাজ করে যাওয়ার উৎসাহ পাবেন বলেও জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/rjd-supremo-lalu-prasad-yadav-supports-mamata-banerjee-as-a-india-block-leader/
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রঙ্কলিন ডি রুসভেল্ট খুবই অনুশোচিত হয়ে পড়েছিলেন। কারণ, যুদ্ধের ফলে অনেক শিশু, নারী-পুরুষ, পশুপাখি এমনকি প্রকৃতির ক্ষতি হয়েছিল। সেই কথা মাথায় রেখেই রাষ্ট্রসঙ্ঘ ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর দিনটিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। আর সেই থেকে প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে পালিত হয়ে আসছে এই দিনটি।