ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ‘আমাদের ছোটো নদী চলে আঁকে বাঁকে…..’- রবি ঠাকুরের ‘ছোটো নদী’ নামে এই কবিতার সঙ্গে ব্যাপক মিল রয়েছে বাঁকুড়ার (Bankura) দক্ষিণাংশ দিয়ে প্রবাহিত শিলাবতী নদীর (Shilabati River)। কারণ এখানকার বেশ কয়েকটি গ্রামের পড়ুয়াদের শিলাবতী নদীর হাঁটু সমান জল পেরিয়েই (Shilabati River Crossing) স্কুলে যেতে হয়। তবে এই ছবিটা একদিনের নয়, বিগত বেশ কয়েক দশকের। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে স্কুল পড়ুয়াদের যাতায়াতের এই ছবিটা ওই এলাকার মানুষ দেখতেই অভ্যস্ত হলেও তাঁদের আক্ষেপ, দিন বদলালেও পরিস্থিতি বদলায়নি।
দুর্ভোগ স্কুল পড়ুয়াদের (Shilabati River Crossing)
শিলাবতী নদী তীরবর্তী সিমলাপালের সাইড়ি, আঁকড়, খামারডাঙ্গা, বাঁশিপুর, এলারডাঙ্গা গ্রাম। গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে এখানকার বেশীরভাগ ছাত্র ছাত্রীরা পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি হয় নদীর ওপারে লায়েকপাড়া রাধেশ্যাম বিদ্যামন্দিরে। রবি ঠাকুরের ছোটো নদীর মতোই এখানেও ‘আষাঢ়ে বাদল নামে, নদী ভর ভর/মাতিয়া চলে ধারা খরতর’। ফলে বছরের বিশেষ ওই দিন গুলিতে শিলাবতীও ওঠে ফুলে ফেঁপে। সেকারণে বন্ধ হয়ে যায় নদী পেরিয়ে (Shilabati River Crossing) স্কুলে যাওয়ার পথ। কারণ সিমলাপাল হয়ে অন্তত ১৫ কিলোমিটার ঘুরে তাদের স্কুলে পৌঁছানো একেবারেই অসম্ভব।
সমস্যায় জর্জরিত গ্রামবাসীরা (Shilabati River Crossing)
গ্রামবাসী বিশ্বজিৎ সৎপতি, সুশোভন সৎপতি, ববিতা সিংরা বলেন, এলাকায় তেমন কোন স্কুল নেই, ফলে নদী পাড়ের লায়েকপাড়ার স্কুলই ভরসা। ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠিয়েও নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন না অভিভাবকরা। তবে বেশী সমস্যা হয় পরীক্ষার দিন গুলিতে। সেই সময়ে নদীতে জল বাড়লে ঘুর পথে (Shilabati River Crossing) নির্দিষ্ট সময়ে স্কুলে পৌঁছানোই অসম্ভব হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: Weather Update: রাজ্যজুড়ে ঝোড়ো ইনিংস শীতের, ঘন কুয়াশার সতর্কতা একাধিক জেলায়
পড়াশুনায় ক্ষতির কথা স্বীকার পড়ুয়াদের
এদিকে ছাত্র ছাত্রীরা কথায়, ”বর্ষার দিন গুলিতে আমাদের স্কুলে যাতায়াত বন্ধই থাকে। ফলে পড়াশুনায় যথেষ্ট ক্ষতি হয়। তবে নদীতে জল বাড়লে একান্ত ভাবে যাতায়াত করা না গেলে পরীক্ষার দিন গুলিতে টোটো ভাড়া করে ঘুরপথে স্কুলে যেতে হয়।”
বিজেপি পড়ুয়াদের কথা ভাবেনা রাজ্য
জঙ্গল মহলের ছাত্র ছাত্রীদের কথা ভাবেনা রাজ্য প্রশাসন, দাবি বিজেপির। দলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল বলেন, প্রশাসনিক উদাসীনতার শিকার ওই গ্রামের ছাত্র ছাত্রী। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে তাঁরা কথা বলবেন বলেও জানান।
আরও পড়ুন: Coochbehar News: কোচবিহারকে পৃথক রাজ্য ঘোষণার দাবি, ভাগের সমর্থন ‘না’ উদয়নের
অভিভাবকদের উপরেই দায় বর্তালেন বিধায়ক
তবে এই পরিস্থিতির পিছনে ওই এলাকার অভিভাবকদেরই দায়ি করেছেন তালডাংরার নব বির্বাচিত বিধায়ক তথা ঘটনাচক্রে ওই এলাকার বাসিন্দা ফাল্গুনী সিংহবাবু।