ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ১০ জানুয়ারি, ভারতীয় মুদ্রা রেকর্ড সর্বনিম্ন স্তরে বন্ধ হয়েছে (Indian Rupee Against Dollar)। এর কারণ হিসেবে মুদ্রা বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের (FII) ক্রমাগত শেয়ার বিক্রি, তেলের আমদানিকারকদের ডলারের চাহিদা বৃদ্ধি এবং মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের সুদের হারের উত্থান।
রুপির পতনের পরিসংখ্যান (Indian Rupee Against Dollar)
ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় মুদ্রা আজ ডলারের বিপরীতে ৮৫.৯৭২৮-এ বন্ধ হয়েছে (Indian Rupee Against Dollar), যা আগের দিনের ৮৫.৮৬৩৮-এর তুলনায় নিচে। সারা দিনের মধ্যে ভারতীয় মুদ্রা ৮৫.৮৬৩৮ থেকে ৮৫.৯৭৫০-এর মধ্যে লেনদেন হয়েছে।
তেলের দাম ও ডলারের চাহিদার প্রভাব (Indian Rupee Against Dollar)
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতীয় মুদ্রা তার দুর্বলতম অবস্থায় বন্ধ হয়েছে (Indian Rupee Against Dollar)। বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি এড়ানোর প্রবণতা এবং ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ৭৮.৬০ ডলারের উপরে চলে যাওয়ায় তেলের আমদানিকারক এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ডলার কিনছেন, যার ফলে রুপির ওপর চাপে পড়েছে।
আরও পড়ুন: Ritwick Chakraborty: মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ থেকে গুণী অভিনেতা, নিজেকে ভাগ্যবান বললেন ঋত্বিক
বেড়েছে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম
গত কয়েক দিনে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ এটি ৭৮.৮৩ ডলার প্রতি ব্যারেল দামে লেনদেন হয়েছে, যা ১.৯১ ডলার বা ২.৪৮ শতাংশ বৃদ্ধি। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে গত দুই বছরের তুলনায় ঠান্ডা আবহাওয়া এবং রাশিয়ার উপর বাইডেন প্রশাসনের সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা সরবরাহ সংকটে প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
দেশীয় শেয়ারবাজারের প্রভাব
দেশীয় শেয়ারবাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সেনসেক্স ২৪১.৩০ পয়েন্ট বা ০.৩১ শতাংশ কমে ৭৭,৩৭৮.৯১-এ এবং নিফটি ৯৫ পয়েন্ট বা ০.৪০ শতাংশ কমে ২৩,৪৩১.৫০-এ বন্ধ হয়েছে।
আরও পড়ুন: Raghu Dakat: খাদানের পর ঝড় তুলবে দেবের রঘু ডাকাত, প্রস্তুতি শুরু
বিশেষজ্ঞরা আরও বলেছেন, ভারতীয় মুদ্রার নতুন নিম্ন স্তরে পৌঁছানো এবং দুর্বল ডলারের কারণে বিনিয়োগকারীদের মনোভাব আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে মন্দার আশঙ্কা এবং ত্রৈমাসিক আয়ের প্রত্যাশা কম থাকায় বিনিয়োগকারীরা ব্যাঙ্কিং এবং মিড ও স্মল-ক্যাপ স্টক থেকে তাদের বিনিয়োগ কমিয়েছেন।
ভারতীয় মুদ্রার ধারাবাহিক পতন
গত কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক কারণে ভারতীয় মুদ্রা চাপের মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে ভারতের ধীর অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রি এবং ডলারের শক্তি বৃদ্ধির বিষয়গুলি উল্লেখযোগ্য।
গত তিন মাসে ভারতীয় রুপি ৮৩.৯৬৮৮ থেকে আরও ২ পয়েন্ট পতন হয়ে ১০ জানুয়ারি ৮৫.৯৭৩৮-এ পৌঁছেছে।