ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কাতারি মধ্যস্থতাকারীরা ইজরায়েল এবং হামাসের কাছে গাজায় চলমান যুদ্ধ (Israel-Palestine War) বন্ধ করার প্রস্তাব পাঠিয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটানোর চেষ্টা চলছে। প্রস্তাবটি ১৫ মাস ধরে চলা এই যুদ্ধে প্রথম অগ্রগতি হিসেবে ধরা হচ্ছে।
তথ্যসূত্র ও অগ্রগতি (Israel-Palestine War)
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর ক্ষমতা গ্রহণের এক সপ্তাহ আগে দোহায় আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন (Israel-Palestine War)। ইজরায়েলি কর্মকর্তারা বলেছেন, একটি সমঝোতা চুক্তি প্রায় সম্পন্ন। তবে হামাস এখনো এই বিষয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি।
বন্দি বিনিময় (Israel-Palestine War)
প্রস্তাবের প্রথম পর্যায়ে, ৩৩ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে। এদের মধ্যে রয়েছে শিশুরা, নারী, ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষ এবং আহত ও অসুস্থ ব্যক্তিরা (Israel-Palestine War)। ইজরায়েল বিশ্বাস করে অধিকাংশ বন্দি জীবিত রয়েছেন, তবে হামাসের কাছ থেকে কোনও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
এই প্রথম পর্যায় সফল হলে ১৬তম দিনে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু হবে। এতে জীবিত পুরুষ বন্দি, সৈনিক এবং মৃত বন্দিদের দেহ ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আলোচনা হবে।
আরও পড়ুন: Rabbit Fever: আমেরিকায় দেখা দিচ্ছে র্যাবিট ফিভার, কী এই রোগ? আতঙ্কে আমেরিকাসহ ভারত
সেনা প্রত্যাহার (Israel-Palestine War)
ইজরায়েলি সেনাদের সীমান্ত এলাকায় অবস্থান রেখে পর্যায়ক্রমে সেনা প্রত্যাহার করা হবে (Israel-Palestine War)। গাজার দক্ষিণ প্রান্তে ফিলাডেলফি করিডোরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর থাকবে। প্রথম কয়েকদিন পর এই অঞ্চলের কিছু অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হবে।
উত্তর গাজার নিরস্ত্র বাসিন্দাদের ফিরতে দেওয়া হবে। এই ক্ষেত্রে নিশ্চিত করা হবে যে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করা হবে না।
হত্যা বা মারাত্মক হামলার জন্য দোষী সাব্যস্ত প্যালেস্তিনীয় জঙ্গিদেরও মুক্তি দেওয়া হবে তবে সংখ্যা জীবিত বন্দীদের সংখ্যার উপর নির্ভর করবে, যা এখনও অজানা। বন্দীদের ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে ছাড়া হবে না। হামাস যোদ্ধা যারা ৭ অক্টোবর, ২০২৩ সালে ইজরায়েলে হামলায় অংশ নিয়েছিল তাদের মুক্তি দেওয়া হবে না।
মানবিক সাহায্য বৃদ্ধি
গাজার মানবিক সংকট মোকাবিলায় সাহায্য বৃদ্ধি করা হবে। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো জানিয়েছে, গাজার পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। যদিও ইজরায়েল সাহায্য পৌঁছানোর অনুমতি দিচ্ছে, সেখানে প্রয়োজনীয় সাহায্যের অভাব এবং চুরি-ডাকাতির সমস্যা বাড়ছে।
আরও পড়ুন: Los Angeles Fire: লস অ্যাঞ্জেলেসের আগুনে মৃত অন্তত ২৪, শঙ্কা বাড়াচ্ছে শক্তিশালী টর্নেডো!
গাজার ভবিষ্যৎ শাসন
যুদ্ধ শেষে গাজা অঞ্চল কে পরিচালনা করবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই বিষয়ে আলোচনা জটিল হওয়ায় সাময়িক সমাধানের পথে অগ্রসর হওয়া হচ্ছে। ইজরায়েল হামাসের ভূমিকা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে এবং প্যালেস্তিনীয় কর্তৃপক্ষের যুক্ত হওয়ার বিষয়টিও প্রত্যাখ্যান করেছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বলেছে যে গাজা অবশ্যই প্যালেস্তিনীয়দের দ্বারা পরিচালিত হতে হবে কিন্তু সুশীল সমাজ বা সাধারণ নেতাদের মধ্যে প্রধান দলগুলোর বিকল্প খোঁজার প্রচেষ্টা অনেকাংশে নিষ্ফল প্রমাণিত হয়েছে।
নতুন সরকার
ইজরায়েল, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গাজায় অস্থায়ী প্রশাসন গঠনের আলোচনা চলছে। এটি পুনর্গঠিত প্যালেস্তিনীয় কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব নেওয়া পর্যন্ত গাজা পরিচালনা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই চুক্তি বাস্তবায়ন হলে গাজার ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিতে পারে।