Last Updated on [modified_date_only] by Shroddha Bhattacharyya
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কিছুদিন আগের (A. R. Rahman) কথা। এক সাক্ষাৎকারে রীতিমত চাঁচাছোলা ভাষায় সুরকার এ আর রহমানের (A. R. Rahman) সমালোচনা করেছিলেন সঙ্গীত শিল্পী অভিজিৎ ভট্টাচার্য (Abhijeet Bhattacharya)। মারাত্মক অভিযোগ করে বলেছিলেন, পদ্ম সম্মান প্রাপ্ত শিল্পীদেরও নাকি সম্মান দেন না এ আর রহমান। বিষয়টা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। রহমানের বহু অনুরাগী রীতিমত বেজায় ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন। এবার জবাব দিলেন সুরকার নিজেই। কী বললেন তিনি?
অভিজিতের আক্ষেপ (A. R. Rahman)
সম্প্রতি অভিজিৎ ভট্টাচার্য বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নানান (A. R. Rahman) প্রশ্ন তোলেন। তাঁর কথায় উঠে আসে, এক বিষন্ন চিত্র। দুঃখ করে বলেছিলেন, তরুণ প্রতিভারা সেতার বা তবলার মতো ধ্রুপদী বাদ্যযন্ত্র শিখতে খুব একটা উৎসাহিত হচ্ছেন না। আজকের বাজারে একজন ভালো সেতার বাদক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কারণ সবাই এখন ল্যাপটপে গান বানাচ্ছে।
রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য (A. R. Rahman)
অভিজিৎ ভট্টাচার্য এর আগেও তাঁর বক্তব্যের জেরে একাধিক (A. R. Rahman) বিতর্কে জড়িয়েছেন। শুধু তাই নয়, তিনি অস্কার জয়ী সুরকার রহমানের সঙ্গে তাঁর কাজের অভিজ্ঞতা নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেন। কথা প্রসঙ্গে টেনে আনেন সেই ১৯৯৯ সালের ঘটনা। যখন তিনি এ আর রাহমানের সুরে গান রেকর্ড করেছিলেন। অভিযোগ করে বলেন, তখন সঙ্গীত শিল্পীর অভিজ্ঞতা ভালো হয়নি। রেকর্ডিংয়ের দিন রীতিমত তাঁকে তিন ঘন্টা স্টুডিওতে অপেক্ষা করতে হয়। অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে অপেক্ষা করিয়েছিলেন এ আর রহমান।
রহমানের ব্যক্তিগত জীবনে ঝড়
প্রসঙ্গত গত বছরের শেষ দিক থেকে রহমানের ব্যক্তিগত জীবনে যেন একের পর এক বিতর্ক আর ঝড়। ২৯ বছরের দাম্পত্যে তিনি ইতি টেনেছেন। এছাড়াও চলতি বছরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়। শুধু তাই নয়, গত কয়েক বছরে রহমানের ঝুলিতে কমেছে হিটের সংখ্যা। এসবের মাঝে গায়ক অভিজিৎ ভট্টাচার্য একগুচ্ছ অভিযোগ আনেন। অবশেষে নীরবতা ভেঙে কী বললেন রহমান?
আরও পড়ুন: Sudeshna Roy: কাজে বাধা, মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন সুদেষ্ণা! নেপথ্যে কি পুরনো দ্বন্দ্ব?
অভিজিতকে ভালোবাসেন রহমান
সম্প্রতি এ প্রসঙ্গেই এক সাক্ষাৎকারে রহমান বলেন, তাঁর নামে সব দোষ চাপানো সহজ। তিনি এখনও অভিজিতকে ভালোবাসেন। অভিজিতকে কেক পাঠাতে পারেন। তবে অভিজিতের মত থাকতেই পারে। আর মত থাকা কোনও অপরাধ নয়। এছাড়াও রহমান বলেন, তিনি সম্প্রতি দুবাইয়ে ৬০ জন মহিলা শিল্পীকে নিয়ে একটি অর্কেস্ট্রা তৈরি করেছেন। যারা প্রতি মাসে পারিশ্রমিক থেকে শুরু করে ইন্সুরেন্স এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা পেয়ে থাকেন। বেশ কিছু ছবিতে তিনি ২০০ থেকে ৩০০ জন সঙ্গীত শিল্পীর সঙ্গে কাজ করেছেন। কিছু গান হয়, যেগুলো ১০০ জনেরও বেশি লোক নিয়ে। সুরকার বলেন, “আমি ছবি তুলে পোস্ট করি না বলে, কারোর নজরে আসে না।” আর প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে বলেন, কম্পিউটার তার কাছে একটা যন্ত্র মাত্র। তিনি সেটা ব্যবহার করেন শুধুমাত্র হারমোনি ডিজাইন করতে। স্পষ্ট জানান, ” আমি যাদের সঙ্গে কাজ করি, তারা জানেন আমি কতজন মিউজিশিয়ানদের সঙ্গে কাজ করি।”