ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বুধবার বিকাশভবনে শিক্ষামন্ত্রীর (Abhijit Ganguly) সঙ্গে বৈঠকে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ব্রাত্য বসুকে পাল্টা আক্রমণ করেছেন। ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, অভিজিৎ বৈঠকে আসবেন না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছেন। এরপর তিনি অভিজিতের উদ্দেশ্যে বলেন, “উনি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পরে জানান যে তিনি আসবেন না। কসবার ঘটনার প্রতিবাদে আসতে না পারা যুক্তিসঙ্গত নয়। শিক্ষা দফতরের পুলিশ বা প্রশাসনের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।”
সরকারের সদিচ্ছার অভাবের ব্যর্থ বৈঠক (Abhijit Ganguly)
অভিজিত পরে ব্রাত্যের বক্তব্যের জবাব দিয়ে বলেন, “সরকারের সদিচ্ছার অভাবের জন্য বৈঠক (Abhijit Ganguly) ব্যর্থ হয়েছে।” তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর প্রশাসনকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন। অভিজিত বলেন, “আমি মমতাকে লেখা চিঠি ছিঁড়ে ফেলেছি, কারণ সরকার চক্রান্ত করছে।”
এসএসসি দফতরে অভিজিৎ (Abhijit Ganguly)
এসএসসি দফতরে গিয়ে অভিজিৎ চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের (Abhijit Ganguly) সঙ্গে কথা বলেন। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি জানান, “এসএসসি যদি চায়, ওএমআর-এর মিরর ইমেজ থেকে যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করতে পারে।” তিনি এসএসসিকে শুক্রবারের মধ্যে এই তালিকা প্রকাশের সময় বেঁধে দিয়েছেন। অন্যথায়, বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা করেছেন।
চাকরিহারারাদের আন্দোলন
বুধবার সকালে চাকরিহারারা কসবায় আন্দোলন শুরু করে এবং পুলিশের লাঠিচার্জের শিকার হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে অভিজিৎ বিকাশভবনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করেন। তিনি বলেন, “যদিও কসবার ঘটনা ঘটেছে, তারপরও কেন এসএসসি দফতরে গিয়েছিলেন? এটি একটি সরকারি অফিস।” অভিজিতের এই মন্তব্যের পর ব্রাত্যও পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তিনি বলেন, “অভিজিতের কেন না আসার পিছনে ভিন্ন কারণ থাকতে পারে। দলীয় রাজনীতির কারণে তিনি হয়তো আসেননি।”

আরও পড়ুন: Gurmeet Ram Rahim: ফের প্যারোলে মুক্তি গুরমিত রাম রহিমের
অভিজিতের আরও দাবি
অভিজিত আরও দাবি করেন, এসএসসি চেয়ারম্যানের হাত-পা বাঁধা রয়েছে এবং মুখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক কারণে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশে বাধা দিচ্ছেন। তিনি আশ্বাস দেন যে, যোগ্যদের চাকরি বাঁচানোর দায়িত্ব সরকারের। অনেকে মনে করছেন অভিজিতের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, তিনি শিক্ষকদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানাতে চান এবং শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে না গিয়ে সরকারকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। এটি রাজনৈতিক মহলে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে।