ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যের প্রথম স্থান অধিকার করে তাক লাগাল রায়গঞ্জের আদৃত সরকার (Adrita Sarkar)। উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ করোনেশন হাই স্কুলের ছাত্র আদৃত পেয়েছে মোট ৬৯৬ নম্বর। শুক্রবার সকালে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি যখন তার নাম প্রথম স্থানাধিকারী নিজের নাম প্রথমে শুনে বিশ্বাসই করতে পারেনি আদৃত।
রাজ্যসেরা রায়গঞ্জের আদৃত (Adrita Sarkar)
রায়গঞ্জ পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বীরনগর এলাকায় আদৃতের বাড়ি (Adrita Sarkar)। বাবা অমিত সরকার, পেশায় প্রভিডেন্ট ফান্ড দফতরের কর্মী। মা একজন গৃহবধূ। সংসারে পড়াশোনার আবহ থাকলেও এত বড় সাফল্যের প্রত্যাশা পরিবারও করেনি। তবে ছোট থেকেই পড়াশোনায় আগ্রহ ছিল আদৃতের। বরাবর মেধাবী হিসেবে পরিচিত সে। ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চায় সে। তবে ভবিষ্যতে অন্য কোনও বিষয়ে আগ্রহ বাড়লে তা নিয়েও পড়াশোনা করার কথা জানাল।
আরও পড়ুন: Abantika Roy: প্রথম দশে কলকাতার একমাত্র স্থানাধিকারী, অবন্তিকা রায়ের নজরকাড়া সাফল্য
মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সে নিয়মিত ১২ জন গৃহশিক্ষকের কাছে পড়ত (Adrita Sarkar)। অঙ্ক, বিজ্ঞানের জন্য আলাদা শিক্ষক ছিল। তবে পড়াশোনার ফাঁকে যে জিনিসটায় সবচেয়ে বেশি মন বসত, তা হল ছবি আঁকা। সাহিত্যের প্রতি আদৃতের টান ছোট থেকেই। পড়াশোনা এবং শখের মধ্যে ভারসাম্য রেখে চলাটাই ছিল তার সাফল্যের চাবিকাঠি।

আদৃতের দিদি জানান, “ওকে কখনও পড়তে বসাতে হয়নি। বরং নিজের ইচ্ছেতেই সব কিছু সময়মতো করত। বই পড়তে ভালোবাসে, শুধু পাঠ্যবই নয়—ইতিহাস, ভূগোল, বিজ্ঞান, এমনকি সাহিত্য নিয়েও ওর আগ্রহ রয়েছে। কুইজ প্রতিযোগিতাতেও ভালো। সদ্য জেলার একটি কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে।”
আরও পড়ুন: Madhyamik Results: ৭০ দিনের মাথায় মাধ্যমিকের ফল, ফের মেধা তালিকায় জেলার দাপট, প্রথম আদৃত সরকার
মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশের পর থেকেই আদৃতের (Adrita Sarkar) বাড়িতে উৎসবের আবহ। আত্মীয়-প্রতিবেশী, স্কুল শিক্ষক, বন্ধুবান্ধব—সকলেই শুভেচ্ছা জানাতে ছুটে আসছেন। গর্বিত বাবা-মা বলেন, “আমরা জানতাম ও ভালো করবে, কিন্তু রাজ্যে প্রথম—এটা আমাদের স্বপ্নের চেয়েও বড় কিছু। ওর পরিশ্রম সার্থক হয়েছে।”
আদৃতের সাফল্যে রায়গঞ্জে বইছে উৎসবের হাওয়া। স্কুল থেকে পরিবার—সর্বত্র গর্ব আর খুশির আবহ। নিজেকে নিয়ে গর্বিত আদৃত, তবে একইসঙ্গে বিনয়ীও (Adrita Sarkar)। বলছে, “ভালো ফলের আশা ছিল ঠিকই, তবে প্রথম হব, সেটা ভাবিনি। রায়গঞ্জের এই সাধারণ পরিবারের ছেলের অসাধারণ এই সাফল্য শুধু পরিবার নয়, গোটা জেলার মুখ উজ্জ্বল করেছে।