ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া অভিবাসন নীতি ঘিরে লস অ্যাঞ্জেলেসে উত্তাল জনমত (Agitation at America)। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ রোববার চরমে পৌঁছায়, যখন ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশে মোতায়েন করা হয় প্রায় ২০০০ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ব্যবহার করা হয় কাঁদানে গ্যাস, রবার বুলেট এবং মরিচ গুঁড়ো ভর্তি বল। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন বহু, গ্রেফতার হয়েছেন অন্তত ২৭ জন।
ট্রাম্প নীতির বিরুদ্ধে পথে বহু মানুষ (Agitation at America)
ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন দফতর গত তিন দিনে ক্যালিফোর্নিয়াজুড়ে ১১৮ জন অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছে(Agitation at America)। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে জনতা। “অমানবিক”, “ভেদাভেদমূলক” এই নীতির বিরুদ্ধে পথে নামেন হাজার হাজার মানুষ। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে রাস্তায় বসে পড়ে ‘নো ডিপোর্টেশন’, ‘ফ্রি দ্য ফ্যামিলিজ’ স্লোগান দিতে থাকেন।এই আবহে রবিবার নিউ জার্সিতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প (Donald J. Trump) বলেন, “আমার একটা ছোট বক্তব্য আছে – ওরা থুতু ছিটিয়েছে, আমরা মেরেছি।” এই মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। ট্রাম্প আরও বলেন, “যদি কেউ আমাদের সেনা, পুলিশ বা সরকারি আধিকারিকদের অপমান করে, তা হলে তাকে কঠোর হাতে দমন করা হবে।”
আন্দোলনকারীদের কী অভিযোগ? (Agitation at America)
তার এই বক্তব্যের পরই সহিংসতা আরও বাড়ে লস অ্যাঞ্জেলেসে। আন্দোলনকারীদের তরফে অভিযোগ, প্রশাসন ইচ্ছাকৃতভাবে দমননীতি চালাচ্ছে(Agitation at America)। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে উসকানির মাধ্যমে সহিংসতায় রূপান্তর করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, অভিবাসন বিরোধী কড়া অবস্থান ট্রাম্পের ২০১6 সালের নির্বাচনী প্রচারের প্রধান স্তম্ভ ছিল। তাঁর দ্বিতীয় দফার প্রচারেও এই ইস্যুকেই সামনে রেখেছেন তিনি।

ট্রাম্প কী দাবি করেন? (Agitation at America)
সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট দাবি করেছেন, “অবৈধ অভিবাসীরা দেশের নিরাপত্তা, অর্থনীতি ও সংস্কৃতিকে ধ্বংস করছে(Agitation at America)।”তবে এই দাবিকে ভুয়ো ও জাতিবিদ্বেষমূলক বলে দাবি করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলি। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল থেকে শুরু করে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের (ACLU) মতো সংস্থা ইতিমধ্যেই ট্রাম্পের বক্তব্যের নিন্দা করেছে। তাদের মতে, “অভিবাসন প্রতিটি দেশের মানবিক দায়িত্ব এবং সাংবিধানিক অধিকার। এর উপর এমন আক্রমণ গণতন্ত্রের জন্য হুমকি।”

আরও পড়ুন: Elon Musk : আসবে মাস্কের নতুন দল! ট্রাম্পের সঙ্গে বিরোধের জেরে রাজনীতির ময়দানে ইলন?
কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি (Agitation at America)
এদিকে, ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্রয়োজনে সেনাবাহিনী নামানো হতে পারে। যদিও ট্রাম্প জানিয়েছেন, “এই মুহূর্তে পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে(Agitation at America)। প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”আন্দোলনকারীদের একাংশ জানিয়েছেন, তাঁরা রাজপথ ছাড়ছেন না যতক্ষণ না প্রশাসন তাঁদের দাবি মেনে নেয়। তাঁদের কথায়, “আমরা আমেরিকার হৃদয়। আমরা পালিয়ে আসা মানুষ নই, আমাদের গলায় ভয় নেই।”বর্তমানে গোটা লস অ্যাঞ্জেলেস জুড়ে থমথমে পরিস্থিতি। প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে, আর আন্দোলনকারীরা প্রতিরোধে অনড়। আগামী দিনে এই সংঘাত আরও কোন পথে গড়াবে, সেদিকেই এখন নজর দেশবাসীর।