ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: একদিকে থাইল্যান্ডের এক অভিনেতা, অন্যদিকে ব্রিটেনপ্রবাসী এক ভারতীয়(Air India Flight)। দুই মহাদেশ, দুই সময়, কিন্তু অবিশ্বাস্য ভাবে এক সূত্রে বাঁধা — বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণে বাঁচা, আর সেই আসনটির নম্বর-১১এ।
AI-171 ফ্লাইটে বেঁচে ফেরেন ১১এ আসনের যাত্রী (Air India Flight)
সম্প্রতি গুজরাটের আহমদাবাদ বিমানবন্দরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) AI-171 ফ্লাইটটি(Air India Flight)। লন্ডনগামী বিমানটি টেক-অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই যান্ত্রিক ত্রুটির মুখে পড়ে। পাইলট জরুরি অবতরণের চেষ্টা করলেও রানওয়ে ছুঁয়ে আগুন ধরে যায় বিমানটিতে। ২৪২ জন আরোহীর মধ্যে কেবল একজন বেঁচে ফেরেন — তাঁর নাম বিশ্বাশ কুমার রমেশ, বয়স ৪০, পেশায় আইটি কর্মী। আশ্চর্যের বিষয়, তিনি বসেছিলেন ১১এ নম্বর আসনে।
আর এক বিমান দুর্ঘটনায় বেঁচে ফেরেন ১১এ যাত্রী (Air India Flight)
এই খবর পৌঁছতেই থাইল্যান্ডে বসে কেঁপে ওঠেন এক ব্যক্তি(Air India Flight)। তিনি আর কেউ নন, থাই অভিনেতা ও গায়ক জেমস রুয়াংসাক লইচুসাক। ১৯৯৮ সালে, মাত্র ২০ বছর বয়সে, তিনি ছিলেন থাই এয়ারওয়েজ TG261 বিমানে, যা দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে সুরাত থানি শহরে অবতরণের সময় ভেঙে পড়ে। ১৪৬ জন যাত্রীর মধ্যে মারা যান ১০১ জন। জীবিত যাঁরা ছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন জেমস। আর হ্যাঁ, সেদিন তাঁর আসনও ছিল ১১এ।

আরও পড়ুন: Donald Trump : জি৭ সম্মেলন ফেলে দেশে ফিরছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প!
দুই ঘটনার মধ্যে অদ্ভুত মিল (Air India Flight)
দুই ঘটনায় সময়ের ব্যবধান ২৭ বছর। কিন্তু দুইজনেরই জীবন বাঁচে ঠিক একই আসনে বসে(Air India Flight)। এই অদ্ভুত মিল আজও বিস্ময় জাগাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে।জেমস রুয়াংসাক জানান, “আমি খবরটা শুনেই স্তব্ধ হয়ে যাই। শরীর ঠান্ডা হয়ে আসে। মনে হচ্ছিল, ইতিহাস যেন নিজেকে পুনরাবৃত্তি করছে।” তিনি আরও বলেন, “এই আসনটা কি শুধুই কাকতালীয়? নাকি এতে রয়েছে কোনও অলৌকিক শক্তি?”অন্যদিকে, হাসপাতালে শুয়ে বিশ্বাশ জানিয়েছেন, “যখন বিমানে আগুন ধরে গেল, আমি জানালার পাশে থাকায় দ্রুত বেরোতে পেরেছিলাম। ওই আসনে না থাকলে হয়তো আর আজ বেঁচে থাকতাম না।”
ইনভেস্টিগেটররা কী বলছেন? (Air India Flight)
এয়ারক্র্যাশ ইনভেস্টিগেটররা বলছেন, এটি নিছকই এক আশ্চর্য কাকতালীয় ঘটনা। কারণ বিভিন্ন বিমানের আসনের অবস্থান ভিন্ন, এমনকি ১১এ কখনও ডান দিক, কখনও বা বাঁদিকে পড়ে। তবে এই গল্প মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে একেবারেই অভিনব।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষ সংকটময় মুহূর্তে আশ্রয় খোঁজে প্রতীক ও বিশ্বাসে। এই দুই বেঁচে ফেরা মানুষের মধ্যে এক অদৃশ্য বন্ধন তৈরি হয়েছে, যা হয়তো পরবর্তী দিনে আরও বিশ্লেষণের বিষয় হয়ে উঠবে।বর্তমানে দুই দেশের সংবাদমাধ্যমের আগ্রহে জেমস ও বিশ্বাশকে নিয়ে তৈরি হতে চলেছে একটি তথ্যচিত্র, যেখানে তাঁরা মুখোমুখি হবেন।সমাপ্তি হোক এই বার্তায়— কখনও কখনও, সংখ্যা শুধু সংখ্যা নয়। কখনও তা হয়ে ওঠে ভাগ্যের ছায়া। ১১এ, এখন কেবল একটি আসনের নম্বর নয় — এটি হয়ে উঠেছে জীবনের আর এক নাম(Air India Flight)।