Last Updated on [modified_date_only] by Shroddha Bhattacharyya
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বর্তমান সময়ে প্রায় কানে আসে, বাংলা (Amartya Sen) বলায় পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর ‘হেনস্থা’ করা হচ্ছে। কিন্তু কখনো কোথাও শোনা যায়নি, ‘সঠিক বাংলা’ বলতে না পারায় অন্য ভাষার শ্রমিকদের বাংলায় এসে হেনস্থা হতে হয়েছে।
তাদের কী অপরাধ? (Amartya Sen)
ভিন্ন রাজ্যে কাজের সন্ধানে যাওয়া কোনো অন্যায় (Amartya Sen) নয়। কর্মজীবন মানুষকে যাযাবর রূপে পরিণত করে, পেটের দায়ে শ্রমিকরা ভিন্ন রাজ্যে চলে যায়, পরিবারের মুখে অন্ন তুলে দেবে, হাসি এনে দেবে বলে, কখনো ইচ্ছায় আবার কখনো বা অনিচ্ছায়। তাদের অপরাধ তারা বাংলা ভাষা ছাড়া অন্য ভাষায় সেইরকম ভাবে সরগর নয়। পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর অত্যাচার কিংবা হেনস্থা করা মানে বাংলা ভাষার অপমান করা। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে কলম ধরেছেন বর্তমান সময়ের প্রায় সকলেই।
বাংলা ভাষার অস্তিত শুধুই কি চর্যাপদে সীমাবদ্ধ? (Amartya Sen)
কথিত আছে ‘বাংলা ভাষার’ অস্তিত মেলে প্রথম (Amartya Sen) চর্যাপদে। ভাষাবিদদের মতে ‘চর্যাপদ’ কে বাংলা ভাষার প্রথম নিদর্শন বলা হয় কিন্তু কেন তার খোঁজ বর্তমান বাঙালি ভুলতে বসেছে, হয়তো অর্ধেক জন তা জানেন না। সেই প্রসঙ্গের সূত্র ধরে নোবেল জয়ী অমর্ত্য সেন নিজের বক্তব্যে বলেছেন, ‘‘শুধু বাঙালি বলে নয়, কোনও অঞ্চলের লোক অন্য জায়গায় হেনস্থা হচ্ছেন— সেটায় আমাদের আপত্তি থাকবে। তাঁরা বাঙালি হোন, পাঞ্জাবি হোন, মারোয়াড়ি হোন। আপত্তি করার কারণ থাকবে।’’
”আমার ছেলের বাংলাটা ঠিক আসে না”
ভবানীপ্রসাদ মজুমদারের কবিতা ”বাংলাটা ঠিক আসে না” এর সঙ্গে পরিচয় প্রাক্কাল থেকেই। বর্তমানে সকলের কাছে এই কবিতাটা ঠিক কতটা প্রযোজ্য হয়ে উঠেছে, প্রতিটা লাইন জীবনের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক রূপ ধারণ করেছে। সময়ের পরিপ্রক্ষিতে চলতে গিয়ে ছেলে-মেয়ে কে ‘ইংলিশ মিডিয়াম’ বিদ্যালয়ে ভর্তি করা একটা রীতিতে দাঁড়িয়ে গেছে, সেসব ভালো কথা; আদতে স্রোতে ভেসে গিয়ে সেই তারা সঠিক বাংলা বলতে ভুলে যায় এটা কোনো অন্যায় নয়। বাংলায় থেকে, বাংলায় কাজ করে সঠিক বাংলা বলতে না পারা কোনো অপমানের না , যে দেশের কিংবা রাজ্যে কাজে ভাষা যা তাই বলাটা প্রযোজ্য বলে মনে হয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের।

বঙ্গ সন্তান নোবেল জয়ী অমর্ত্য সেন-এর মতামত
তিনি বাংলার গর্ব, তিনি মনে করেন সকল মানুষকে সন্মান করা উচিত। সংবিধানেও লেখা হয়েছে, একজন ভারতীয় নাগরিকের গোটা দেশের উপরেই অধিকার রয়েছে। কিন্তু আঞ্চলিক অধিকারের কথা কোথাও বলা নেই। অমর্ত্য সেন-এর মতে, ‘‘ভারতবর্ষের নাগরিকদের অধিকার রয়েছে আনন্দ করে থাকার। সেগুলো আমাদের মানতেই হবে। কোনও ভারতীয় যদি ওড়িশা থেকে রাজস্থানে গিয়ে অবহেলিত হন, তা হলেও আমাদের আপত্তি থাকার কারণ থাকবে।’’
আরও পড়ুন: Gas Connection Transfer: মৃত্যুর পর গ্যাস সংযোগের মালিকানা বদল করবেন কীভাবে?
বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক, নাট্যকার, রাজনীতিবিদ, বাংলা সাহিত্যের সীমা পরিসীমাকে দূর দুরান্তের পথে নিয়ে গেছেন নিজেদের সাহিত্য রচনার মাধ্যমে, সেই দেশের মানুষদের পরিযায়ী শ্রমিক রূপে অন্য দেশে গিয়ে অপমান সহ্য করতে হবে এটা বাংলার কাছে ভীষণ লজ্জার।