ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ‘ভারত থেকে মাওবাদের অস্তিত্ব মুছে ফেলব।’ মাওবাদীদের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনার দাবি খারিজ করে হুঙ্কার দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Maoism)। রবিবার তেলেঙ্গানায় এক জনসভায় দাঁড়িয়ে শাহ বুঝিয়ে দিলেন, হয় আত্মসমর্পণ না হলে মৃত্যুই হবে মাওবাদীদের শেষ পরিণতি।
মাও অধ্যুষিত রাজ্যগুলিতে অভিযান (Maoism)
গত প্রায় এক বছর ধরে মাও অধ্যুষিত ছত্তিশগড়, তেলাঙ্গানা, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যগুলি জোরকদমে অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী(Maoism)। সংঘর্ষ বিরতির দাবি জানিয়ে মাওবাদীদের তরফে বারবার আবেদন জানানো হলেও সে আর্জি কানে তোলেনি সরকার। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই রবিবার তেলেঙ্গানায় এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে অমিত শাহ জানালেন, ‘কংগ্রেস এইসব লোকেদের (মাওবাদীদের) সঙ্গে আলোচনা করতে বলে। তবে আমাদের সরকারের নীতি হল যাদের হাতে অস্ত্র রয়েছে তাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা নয়। অস্ত্র ত্যাগ করুন, আত্মসমর্পণ করুন এবং সমাজের মূল ধারায় ফিরে আসুন।’

মাওবাদীদের চূড়ান্ত সময়সীমা (Maoism)
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ‘মাওবাদীদের উচিত অস্ত্র ত্যাগ করে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসা(Maoism)। যদি সেটা না করা হয় সেক্ষেত্রে আমরা চূড়ান্ত সময়সীমা ঠিক করে দিয়েছি। ৩১ মার্চ ২০২৬ এই সময়ের আগেই দেশ থেকে পুরোপুরি নির্মূল করে ফেলা হবে মাওবাদ।’ মাও-দমন অভিযানে সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরে অমিত শাহ আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যেই উত্তর-পূর্বের প্রায় ১০ হাজার মানুষ আত্মসমর্পণ করে মূলস্রোতে ফিরে এসেছেন। এদের অনেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছেন। একইভাবে গত দেড় বছরে প্রায় ২০০০ জনের বেশি আদিবাসী মাওবাদ ছেড়ে আত্মসমর্পণের রাস্তায় হেঁটেছেন।’
আরও পড়ুন-Emergency: ‘বিচারব্যবস্থা পুতুলে পরিণত হয়!’ জরুরি অবস্থা নিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা প্রধানমন্ত্রী মোদীর
মাওবাদীদের ঘাঁটি পুনরুদ্ধার (Maoism)
সাম্প্রতিক সময়ে মাও অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিতে বিরাট পরিসরে অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী(Maoism)। গত কয়েক মাসে নিকেশ করা হয়েছে মাওবাদীদের বহু শীর্ষ কমান্ডারকে। পুনরুদ্ধার করা হয়েছে মাওবাদীদের একের পর এক ঘাঁটি। এভাবে লাগাতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তেলেঙ্গানা প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি মহেশকুমার গৌড়। এই অভিযান বন্ধের আর্জি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মাওবাদীরাও দেশের নাগরিক। যারা গরিব মানুষের বিরুদ্ধে হওয়া সামাজিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেন। এই অবস্থায় মাওবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নয়, বরং সাংবিধানিক পথে সমস্যা মেটানো উচিত।’ মাওবাদীদের সঙ্গে আলোচনারও ইঙ্গিত দেন তিনি।

আরও পড়ুন-India: ওয়াজিরিস্তানে হামলার নেপথ্যে ভারত! পাকিস্তানের হাস্যকর অভিযোগ খারিজ নয়া দিল্লির
দেশে মাওবাদ নির্মূল (Maoism)
দেশ থেকে মাওবাদ নির্মূল করতে ২০০৬ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আওতায় ‘লেফ্ট উইং এক্সট্রিমিজম ডিভিশন’ তৈরি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার(Maoism)। এটি মাওবাদী সংক্রান্ত পরিস্থিতি নজরে রাখে। মাওবাদীদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করে। এছাড়াও মাওবাদীদের নিয়ন্ত্রণ করতে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পও সামনে এনেছে কেন্দ্র। মাওবাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে সিআরপিএফ।
