Last Updated on [modified_date_only] by Debu Das
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগে ফের বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী(Anti Naxal Operation)। সোমবার ভোরে তাতিঝরিয়া থানা এলাকার কারান্দি গ্রামে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে তুমুল গুলিযুদ্ধে নিহত হয়েছেন সিপিআই (মাওবাদী)-র কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতা সহদেব সোরেন। বহু বছর ধরেই তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর তালিকাভুক্ত মোস্ট ওয়ান্টেড ছিলেন। তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল এক কোটি টাকা।
অভিযানে আরও দুই মাওবাদীর মৃত্যু (Anti Naxal Operation)
সহদেব সোরেনের পাশাপাশি নিহত হয়েছেন সংগঠনের আরও দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য(Anti Naxal Operation)। তাঁদের মধ্যে রঘুনাথ হেমব্রম ওরফে চঞ্চল ছিলেন বিহার-ঝাড়খণ্ড স্পেশ্যাল এরিয়া কমিটির সদস্য। তাঁর মাথার দাম ছিল ২৫ লক্ষ টাকা। অন্যজন বীরসেন গাঞ্ঝু ওরফে রামখেলওয়ান, যিনি ছিলেন জ়োনাল কমিটির সদস্য। তাঁর জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল ১০ লক্ষ টাকা। নিরাপত্তা বাহিনী (INDIAN ARMY) জানিয়েছে, এই তিনজনই দীর্ঘদিন ধরে ঝাড়খণ্ড ও পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে মাওবাদী কার্যকলাপের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।
যৌথ বাহিনীর অভিযানের কাহিনি (Anti Naxal Operation)
গোপন সূত্রে মাওবাদীদের অবস্থানের খবর মেলায় সোমবার ভোরে অভিযানে নামে কোবরা ব্যাটালিয়ন, গিরিডি পুলিশ এবং হাজারিবাগ পুলিশ(Anti Naxal Operation)। ভোর ৬টা নাগাদ গিরিডি-বোকারো সীমানা সংলগ্ন কারান্দি গ্রামে শুরু হয় গুলিযুদ্ধ। ঘণ্টাখানেকের সংঘর্ষে তিন মাওবাদী নেতা নিহত হন। পরে তাঁদের দেহ উদ্ধার করে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, জঙ্গল এলাকায় এখনও বেশ কিছু মাওবাদীর উপস্থিতির খবর রয়েছে।

আরও পড়ুন : Calcutta High Court :জামিন মিললেই জেলমুক্তি পার্থর! প্রাথমিক নিয়োগ মামলার শুনানি শেষ, স্থগিত রায়দান
দেশজুড়ে মাওবাদী প্রভাব কমছে
গত কয়েক বছরে দেশজুড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানে মাওবাদীদের প্রভাব উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পেয়েছে(Anti Naxal Operation)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ২৪৫ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শুধু ছত্তীসগঢ়ের বস্তার ডিভিশনেই নিহত হয়েছেন ২১২ জন। ফলে এই রাজ্যগুলিতে তাঁদের প্রভাব কার্যত ভেঙে পড়ছে।
সাম্প্রতিক অভিযান ও গ্রেফতারি(Anti Naxal Operation)
গত রবিবারই ঝাড়খণ্ডের পলামুতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে মৃত্যু হয়েছে মুখদেও যাদব নামে এক মাওবাদীর। একই দিনে ছত্তীসগঢ় ও তেলঙ্গানার সীমান্ত সংলগ্ন মহারাষ্ট্রের গড়চিরৌলি জেলায় গ্রেফতার হন দণ্ডকারণ্যের সক্রিয় মাওবাদী নেতা শঙ্কর ভীমা মহাকা। এ ছাড়াও, বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক অভিযানে বহু মাওবাদী আত্মসমর্পণ করছেন।
আরও পড়ুন : Supreme Court On Waqf : ওয়াক্ফ সংশোধনী আইন মামলায় আংশিক স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের
আত্মসমর্পণের ধারা স্পষ্ট
নিরাপত্তা বাহিনীর চাপ এবং নেতৃত্ব সংকটের কারণে অনেক মাওবাদীই আত্মসমর্পণের পথ বেছে নিচ্ছেন(Anti Naxal Operation)। সম্প্রতি আত্মসমর্পণ করেছেন নিহত নেতা মাল্লোজুলা কোটেশ্বর রাও ওরফে কিষেণজির স্ত্রী পথৌলা পদ্মাবতী ওরফে সুজাতা। পুলিশ ও প্রশাসনের মতে, এই ধারাবাহিক আত্মসমর্পণ এবং অভিযানের ফলে মাওবাদীদের সংগঠনিক কাঠামো ভেঙে পড়ছে।
শেষের পথে সশস্ত্র আন্দোলন
প্রশাসন মনে করছে, একের পর এক শীর্ষ নেতার মৃত্যু এবং সদস্যদের আত্মসমর্পণের ফলে দেশে মাওবাদী সন্ত্রাস কার্যত শেষের পথে। তবে এখনও কিছু বিচ্ছিন্ন এলাকায় তাঁদের সক্রিয়তা রয়ে গিয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী