ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: রাজ্যে অ্যাপ-নির্ভর (App CAB Bike) বাইক-ট্যাক্সি পরিষেবা দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ওলা, উবর কিংবা র্যাপিডো এসব পরিষেবার মাধ্যমে সহজেই শহর কিংবা শহরতলির যাত্রীরা স্বল্প খরচে গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছেন। কিন্তু যাত্রীদের লাগেজের কারণে বাড়তে থাকা দুর্ঘটনার ঝুঁকি এবার পরিবহণ দফতরকে চিন্তায় ফেলেছে। তাই যাত্রীসুরক্ষা নিশ্চিত করতে নতুন করে কিছু নিয়ম জারি করল রাজ্য সরকার।
নতুন নির্দেশিকা (App CAB Bike)
নতুন নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, বাইক-ট্যাক্সিতে ওঠার সময় (App CAB Bike) কোনও যাত্রী সর্বোচ্চ ১০ কেজি ওজনের ব্যাগ সঙ্গে নিতে পারবেন। সেই সঙ্গে ব্যাগটির দৈর্ঘ্য ৩৬ সেন্টিমিটারের মধ্যে থাকতে হবে। আরও বলা হয়েছে, যদি যাত্রীরা তাঁদের পাশে ব্যাগ ঝুলিয়ে রাখেন, তবে সেগুলোর প্রস্থ ১৫ সেন্টিমিটারের বেশি হওয়া চলবে না। উদ্দেশ্য একটাই, বাইক চালানোর সময় ভারসাম্য রক্ষা এবং অন্য গাড়ি বা পথচারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
বাইক ভারসাম্য হারাতে পারে (App CAB Bike)
পরিবহণ দফতরের মতে, অতিরিক্ত ভারী বা বড় ব্যাগ নিয়ে যাত্রী (App CAB Bike) ওঠার ফলে বাইক ভারসাম্য হারাতে পারে, বিশেষত ঘনবসতিপূর্ণ শহরের রাস্তায়। চলন্ত অবস্থায় বাইকের দুই দিক থেকে ঝুলে থাকা ব্যাগ অন্য যানবাহন বা মানুষের গায়ে লেগে বড় দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। সম্প্রতি কলকাতা ও শহরতলি মিলিয়ে এমন কিছু ঘটনার নজির সামনে এসেছে, যার পরিপ্রেক্ষিতেই এই পদক্ষেপ।

প্রশাসনকে কড়া নজরদারির নির্দেশ
নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, এবার থেকে বাইক-ট্যাক্সি গাড়িগুলিকে হলুদ রঙের নম্বর প্লেট বাধ্যতামূলক করতে হবে, যাতে তারা অন্য বাইকের থেকে স্পষ্টভাবে আলাদা হয়। এই নিয়ম কার্যকর হচ্ছে কিনা, তা দেখার জন্য পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে কড়া নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যাত্রীদেরও বিপদে ফেলতে পারে
পরিবহণ দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, “প্রায়ই দেখা যায় যাত্রীরা নিজেদের ইচ্ছেমতো বড় ব্যাগ নিয়ে বাইকে উঠে পড়েন। চালক আপত্তি জানালেও তাঁরা শোনেন না। এই ধরনের ব্যবহার শুধু চালকেরই নয়, অন্য পথচারী বা গাড়ির যাত্রীদেরও বিপদে ফেলতে পারে।”
আরও পড়ুন: Weather Forecast: নতুন নিম্নচাপে ফের বৃষ্টির দাপট, উপকূল ও উত্তরবঙ্গে সতর্কতা জারি!
এই নির্দেশিকাটি এখনই কার্যকর হচ্ছে এবং শুধুমাত্র চালকরাই নন, অ্যাপ সংস্থাগুলোকেও এই নিয়ম মানতে হবে। পরিবহণ বিশেষজ্ঞদের মতে, যাত্রীসুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এই পদক্ষেপ যথেষ্ট প্রয়োজনীয়। তবে বাস্তব ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ কতটা কঠোরভাবে করা যায়, সেদিকেই এখন নজর থাকবে সকলের।