ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আলি খান মাহমুদাবাদকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত(Ashoka University professor)। ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে বিতর্কিত পোস্টের জেরে রবিবার তাঁকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হরিয়ানা রাজ্য মহিলা কমিশন এই অধ্যাপকের মন্তব্যের নজরদারি করার পরে এই ঘটনা ঘটে।দুই দিনের পুলিশি হেফাজতে থাকার পর সোনিপতের জেলা আদালতে ওই অধ্যাপককে পেশ করা হয়।
অধ্যাপকের আইনজীবীর বক্তব্য ও প্রতিবাদ (Ashoka University professor)
মঙ্গলবার মাহমুদাবাদের আইনজীবী কপিল বালিয়ান বলেন, ‘পুলিশ আদালতে অধ্যাপককে আরও সাত দিন নিজেদের হেফাজতে আবেদন করেছিল(Ashoka University professor)। আমরা পুলিশি হেফাজত বাড়ানোর বিরোধিতা করেছি… এরপর আদালত তাঁকে ২৭ মে পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।’ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ওই দিনই।এদিকে, অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি কাউন্সিল গ্রেফতারির তীব্র বিরোধিতা করেছে। তাদের বক্তব্য, সুপরিকল্পিত ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে মাহমুদাবাদকে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং অগ্রহণযোগ্য।
অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশের দাবি (Ashoka University professor)
রবিবার অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ অজিত সিং জানান, আলি খান মাহমুদাবাদকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে(Ashoka University professor)। হরিয়ানার বিজেপির যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক যোগেশ জাঠেরি শনিবার সোনপত জেলার রাই থানায় এই মামলা দায়ের করেন বলেই জানা গিয়েছে।পাশাপাশি, হরিয়ানা রাজ্য নারী কমিশনও আলাদা একটি মামলা দায়ের করে। সেখানে অধ্যাপকের মন্তব্যকে ‘কমিউনাল ডিজহারমোনি’ বলে উল্লেখ করা হয়। এরপরই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন- Golden Temple: স্বর্ণমন্দিরে সমরাস্ত্র রাখা ছিল না! বায়ুসেনার দাবি অস্বীকার প্রধান গ্রন্থীর
কী বলেছিলেন অধ্যাপক? (Ashoka University professor)
সম্প্রতি ফেসবুকে অধ্যাপক মাহমুদাবাদ অপারেশন সিঁদুর নিয়ে উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং এবং কর্নেল সোফিয়া কুরেশির প্রেস কনফারেন্সকে ‘হিপোক্রেসি’ বলে উল্লেখ করেছিলেন (Ashoka University professor)। এমনকী এই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমি খুব খুশি যে অনেক দক্ষিণপন্থী ভাষ্যকার কর্নেল সোফিয়া কুরেশির প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কিন্তু তারা সম্ভবত একইভাবে জোর গলায় তারা এটা দাবি করতে পারছেন না যে সমস্ত ভারতীয় নাগরিক বিজেপির ঘৃণা বিদ্বেষ ছড়ানোর কারণে, অনৈতিক বুলডোজার চালিয়ে ঘর নষ্ট করে দেওয়ার কারণে, গণপিটুনির শিকার হয়ে নিগৃহীত হয়েছেন তারা কী আগামীতে সুরক্ষিত থাকবে দেশে?’ এরপরেই ওই অধ্যাপককে হরিয়ানা রাজ্য মহিলা কমিশনের তরফে একটি নোটিশ পাঠানো হয়।সমনের জবাবে অধ্যাপক মাহমুদাবাদ বলেন, অপারেশন সিঁদুর এবং এর সঙ্গে জড়িত মহিলা অফিসারদের উপর তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট মোটেও নারীবিদ্বেষী ছিল না, অযথা তাকে সেন্সর করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- Spy Jyoti Malhotra: ‘দিল্লি যেত মেয়ে!’ গুপ্তচর ইউটিউবারের বাবার উল্টো সুর
অধ্যাপকের পরিচয় (Ashoka University professor)
পুলিশ সূত্রে খবর, আলি খান মাহমুদাবাদ অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক(Ashoka University professor)। তাঁর বাড়ি লখনৌতে। ৭ মে রাতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটিগুলির বিরুদ্ধে বড়সড় হামলা চালিয়ে সফল হয়। এই অভিযানের পর সংবাদমাধ্যমে মুখোমুখি হন সেনা কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। মহিলা অফিসারদের উপস্থিতি ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক গুরত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই নিয়ে চর্চা শুরু হয় দেশজুড়ে। বয়ে যায় প্রশংসার ঝড়।