ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পাঁচ দিনের সরকারি সফরে আমেরিকা পৌঁছেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির(Asim Munir)। রবিবার তাঁর এই সফরের খবর প্রকাশ্যে এনেছে পাকিস্তানের একটি সংবাদপত্র, যা সে দেশের কূটনৈতিক মহলে প্রবল চর্চার জন্ম দিয়েছে। ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে মুনিরের হঠাৎ মার্কিন সফরকে কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। ইসলামাবাদ ইতিমধ্যেই ইরানের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে। এমনকি ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য মোহসেন রেজাই দাবি করেছেন, ইজরায়েল যদি ইরানে পরমাণু হামলা চালায়, তবে পাকিস্তানও ইজরায়েলের উপর পাল্টা হামলা চালাবে। যদিও ইসলামাবাদ এখনও এই বক্তব্যের সত্যতা বা বক্তব্যটিকেই আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি। তবুও এই প্রেক্ষাপটে মুনিরের আমেরিকা সফর একাধিক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
মুনিরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি মার্কিন সেনা দিবসে (Asim Munir)
পাক সংবাদ মাধ্যম-এর একটি সূত্র অনুযায়ী, মুনির এখন রয়েছেন ফ্লরিডার সেন্ট্রাল কমান্ড সদর দফতরে(Asim Munir)। সূত্রের দাবি, তাঁর আমেরিকার (Donald J. Trump) প্রতিরক্ষা সচিব এবং বিদেশ সচিবের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে হোয়াইট হাউস স্পষ্ট করে জানিয়েছে, শনিবার আমেরিকান সেনা দিবসের অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান মুনিরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কেন তাঁকে বাদ দেওয়া হল, তা নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা।তবে শুধু দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নয়, এই সফর পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। ইমরান খানের দল পিটিআই ইতিমধ্যেই ওয়াশিংটনের পাকিস্তান দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেছে। তাদের দাবি, মুনির আমেরিকায় অবস্থান করছেন জেনেই এই সময় বেছে নেওয়া হয়েছে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে প্রতিবাদ জানাতে। মনে রাখা প্রয়োজন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে সেনাপ্রধান মুনিরের সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই সংঘাতপূর্ণ(Asim Munir)।
দুই বিপরীত মেরুর মধ্যস্থতা(Asim Munir)
আন্তর্জাতিক রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের মতে, মুনিরের সফরের মাধ্যমে পাকিস্তান দুই বিপরীত মেরুর মধ্যস্থতা করতে চাইছে(Asim Munir)। একদিকে, মুসলিম বিশ্বের ঐক্যের প্রশ্নে ইরানের পাশে দাঁড়ানো, অন্যদিকে মার্কিন স্বার্থ রক্ষার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মিত্রতা বজায় রাখা—এই দ্বৈত কৌশল নিয়েই মুনিরের সফর বলেই অনুমান।তবে এই সফর থেকে আদৌ কী বার্তা বেরিয়ে আসে, তা এখনই স্পষ্ট নয়। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতর যেমন এই সফর নিয়ে কিছু বলেনি, তেমনই আমেরিকাও এখন পর্যন্ত মুনিরের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের বিষয়ে নিশ্চয়তা দেয়নি।

ইরান-ইজরায়েল সংঘাত(Asim Munir)
সব মিলিয়ে, ইরান-ইজরায়েল সংঘাতের ছায়ায় পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের এই হঠাৎ সফর কূটনৈতিক মহলে এক জটিল সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এটি শুধু দ্বিপাক্ষিক নয়, বরং এক বহুমাত্রিক ভূ-রাজনৈতিক খেলার ইঙ্গিত দিচ্ছে যা আগামী দিনে পশ্চিম এশিয়ার রাজনৈতিক মানচিত্রকে প্রভাবিত করতে পারে(Asim Munir)।