ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: নিত্যদিনের ব্যস্ততায় (Banana vs Dates) অনেক সময়েই মেপে খাবার খাওয়ার সুযোগ থাকে না। তাই খিদে মেটাতে স্ন্যাকসের ওপর নির্ভর করতে হয়। যারা স্বাস্থ্য সচেতন, তাঁরা এই সময়টাতে ভাজাভুজির বদলে খেজুর কিংবা কলার মতো প্রাকৃতিক ও পুষ্টিকর খাবার বেছে নেন। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, খেজুর না কি কলা, কোনটি শরীরের জন্য বেশি উপকারী?
উপকারিতা আলাদা (Banana vs Dates)
দু’টি ফলই পুষ্টিমানে ভরপুর, তবে উপকারিতা (Banana vs Dates) আলাদা। শুরু করা যাক ক্যালোরি দিয়ে। ১০০ গ্রাম কলায় প্রায় ৮৯ ক্যালোরি থাকলেও, খেজুরে একই পরিমাণে ক্যালোরি প্রায় দ্বিগুণ ১৮০। ফলে যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাদের পক্ষে কলা তুলনামূলকভাবে ভালো বিকল্প। তবে যাঁরা দ্রুত শক্তি পেতে চান, বিশেষ করে শরীরচর্চার পর, তাঁদের জন্য খেজুর আদর্শ। কারণ এতে শর্করার পরিমাণ বেশি (৬৪ গ্রাম প্রতি ১০০ গ্রাম), যা তাড়াতাড়ি শক্তি দেয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে ভালো কাজ (Banana vs Dates)
ডায়াবেটিস বা রক্তে চিনি নিয়ন্ত্রণে রাখার দিক থেকে কলা (Banana vs Dates) এগিয়ে। এতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম এবং শর্করা মাত্র ১২ গ্রাম। অন্যদিকে, খেজুরের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি হলেও এর মিষ্টি স্বাদ স্বাভাবিকভাবে চিনি খাওয়ার প্রবণতা কমাতে সাহায্য করে।খাবার হজমে দু’টি ফলই সহায়ক। তবে ফাইবারের দিক থেকে খেজুর খানিকটা এগিয়ে। ১০০ গ্রাম খেজুরে ৮ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার থাকে, যেখানে কলায় তা ২.৬ গ্রাম। ফাইবার হজম ও মলত্যাগ সহজ করে, ফলে খেজুর কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে ভালো কাজ করে।
আয়রন ও ম্যাগনেশিয়াম
পটাশিয়াম এবং খনিজ উপাদানের দিক থেকে উভয়ের মধ্যেই কিছু পার্থক্য রয়েছে। কলায় রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম, যা হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে সহায়ক। অন্যদিকে, খেজুরে বেশি মাত্রায় আয়রন ও ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায়, যা রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে কার্যকর এবং পেশির কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
কোন সময় কোনটি খাবেন?
সারাংশে বলা যায়, খেজুর এবং কলা-দুই ফলই স্বাস্থ্যকর। তবে কোন সময় কোনটি খাবেন, তা আপনার শরীরের প্রয়োজন ও জীবনের রুটিনের উপর নির্ভর করে। সকালের খাবার বা শরীরচর্চার পরে খেজুর খাওয়া যেতে পারে শক্তি বাড়ানোর জন্য। আর দিনের অন্য সময়ে হালকা খিদেয় কলা হতে পারে ভালো বিকল্প। তবে অতিরিক্ত খাওয়া কোনওটিই স্বাস্থ্যসম্মত নয়।
