ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বাংলাদেশের রাজনৈতিক (Bangladesh Incident) পরিস্থিতি বর্তমানে চরম অশান্তির মধ্যে রয়েছে। সাম্প্রতিক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বাংলাদেশ সরকারের অন্তর্বর্তী প্রধান মহম্মদ ইউনূস কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন। ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় তিনি দ্বিতীয়বার বিবৃতি প্রদান করেন, যা বৃহস্পতিবার রাতে সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করা হয়।
ইউনূসের নিশানায় হাসিনা (Bangladesh Incident)
অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতিতে (Bangladesh Incident) বলা হয়েছে, “সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে, কিছু ব্যক্তি এবং গোষ্ঠী দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করছে।” সরকার এই ধরনের কর্মকাণ্ডকে শক্ত হাতে প্রতিহত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ইউনূসের সরকার উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড বরদাস্ত করবে না এবং দেশের নাগরিকদের প্রাণ ও সম্পত্তি রক্ষায় প্রস্তুত আছে। এই কথাও বলেছেন তিনি।
দুর্বৃত্তদের পাশে ইউনূস? (Bangladesh Incident)
বাংলাদেশের জনতার উদ্দেশে মাহফুজ আলম এক আবেদন জানিয়েছেন, “থামুন। শান্ত হোন। সরকারকে কাজ করতে দিন।” তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে, বিচার ও (Bangladesh Incident) সংস্কার হবে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ও অস্থিরতা সৃষ্টি হওয়া অনুচিত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: Sheikh Hasina: হাসিনাকে দেশে ফেরাবে ভারত? প্রত্যার্পণের দাবিতে নীরব ভারত
মুছে দিল মুজিবের সব স্মৃতি
বুধবার রাত থেকে নতুন করে অশান্তি (Bangladesh Incident) ছড়িয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল মাধ্যমে ভাষণ দেওয়ার ঘোষণা করার পর বিরোধীদের ক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে। তারা ধানমন্ডিতে মুজিবের স্মৃতিবিজড়িত বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে এবং পরে বাড়িটি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। ঘটনাক্রমে, মুজিবের স্মৃতিতে তৈরি মিউজিয়ামও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ভারতের উপ-রাষ্ট্রদূতকে তলব
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে সরকারের প্রথম বিবৃতিতে বলা হয়েছিল যে, এটি হাসিনার ‘সহিংস আচরণের প্রতিক্রিয়া’। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, হাসিনা ভারতে বসে গণআন্দোলন নিয়ে যে ‘প্ররোচনামূলক’ মন্তব্য করেছেন, তারই প্রভাব মানুষকে উত্তেজিত করেছে। এই অবস্থার মধ্যেই বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ভারতীয় উপরাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়।

ধ্বংস স্বাধীনতার স্মৃতিস্তম্ভ
শেখ হাসিনা ভাঙচুরের ঘটনায় বলেন, “বাড়িটি তো আমরা ভোগ করিনি। এটি স্বাধীনতার স্মৃতিস্তম্ভ।” তিনি জানান, যতটুকু স্মৃতি ছিল, সেটুকুও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি বিশ্বাস করেন যে, জাতির পিতা মনের মণিকোঠায় চিরকাল জাগ্রত থাকবেন এবং তা কখনোই মুছতে পারবে না।