ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পুরুষের স্ফীত মধ্যপ্রদেশ(Belly Fat) মহিলাদের চোখে বিশেষ গ্রহণযোগ্য নয়। তাই এই নিয়ে অত্যন্ত সমস্যায় পড়েন বহু পুরুষ। এমনকি নারীরাও এই নিয়ে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়। ভুঁড়ি হয়ে গেলে নিজের পছন্দ মতো স্লিম ড্রেস পরা যায়না। ফলে তাঁরা এই নিয়ে হতাশ হন বারবার। অত্যধিক বাইরের খাবার খেলে পেটে মেদ জমা হতে শুরু করে। এ ক্ষেত্রে মদ্যপানেরও একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। নিয়মিত মদ্যপানের অভ্যাসে ভুঁড়ি হবেই। তা ছাড়া হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার প্রবণতায় ভুঁড়ি বাড়ে। তবে ভুঁড়ি কমাতে শুধু মদ্যপানে থেকে সরে এলেই হবে না। কয়েকটি পানীয় থেকেও দূরে থাকতে হবে। জেনে কোন কোন পানীয় থেকে দূরে থাকলে তবেই কমবে ভুঁড়ি।
সোডা পানীয় (Belly Fat)
মাঝেমাঝেই ফ্রিজ থেকে বার করে কোল্ড ড্রিংকস-এ চুমুক দিচ্ছেন আর চাইছেন পেট(Belly Fat) যেন স্লিম থাকে তা তো একসঙ্গে কখনোই সম্ভব নয়। এ ধরনের পানীয়ে আলাদা করে চিনি মেশানো থাকে। সঙ্গে থাকে সোডাও। আর এই দুই উপকরণ ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়ার জন্য অন্যতম দায়ী। তাই যখন তখন সোডা পানীয় খাওয়া বন্ধ করুন।
কফি (Belly Fat)
সারা দিনে কাজের ফাঁকে বার কয়েক কফি খাওয়া হয়েই যায়। কিন্তু সেই কফিতে যদি দুধ, চিনির মিশ্রণ থাকে, তা হলে মুশকিল। গাঢ় দুধ আর বেশি করে চিনি দেওয়া কফি জিভের আলাদা তৃপ্তি আনে ঠিকই। পাশাপাশি বাড়িয়ে দেয় ভুঁড়িও(Belly Fat)। তাই পেট মেদবহুল হোক সেটা না চাইলে, মিল্ক কফি খাওয়া বন্ধ করুন। কফি যদি খেতেই হয়, তা হলে চুমুক দিন ব্ল্যাক কফিতে।
আরও পড়ুন:Joint Pain: গাঁটের ব্যথায় ভুগছেন? রইলো ব্যথা থেকে মুক্তির উপায়
স্মুদি
পরিমিত খাবার বলে ঠিক করেছেন। তাই সকাল-বিকাল স্মুদি খাওয়া শুরু করেছেন। আদৌ কি কোনও লাভ হচ্ছে? দুধ, ইয়োগার্ট, চিনি. বেরি, কলা দিয়ে তৈরি সুস্বাদু স্মুদি খেতে মন্দ লাগার কথা নয়। তবে এতে যে ভুঁড়ি বেড়ে যেতে পারে, সেদিকেও নজর দিতে হবে। কলা, স্ট্রবেরিতে এমনিই চিনি আছে। তার উপর আলাদা করে যদি স্মুদিতে চিনি মেশান, তা হলে পেটে মেদ(Belly Fat) জমতে বাধ্য।
আরও পড়ুন:Guillain-Barré Syndrome: জল থেকে ছড়াচ্ছে গিয়ান-ব্যারে ভাইরাস? শিশুদের জাঙ্কফুড একেবারেই না
চিনি দেওয়া চা
ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়ার আর একটা বড় কারণ হল রোজ অতিরিক্ত চিনি দিয়ে চা খাওয়া। তাই স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায় আপনার ভুঁড়ি। তাই চেষ্টা করুন একদম চিনি না দিয়ে বা একদম সামান্য চিনি দিয়ে চা খেতে। একেবারেই চিনি যদি না দেন তার থেকে ভালো কিছু নয়। তাই চিনির ক্ষেত্রে খেয়াল রাখুন পরিমাণ।