ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ইরানে সামরিক অভিযান শেষ হওয়ার পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু রবিবার দক্ষিণ ইসরায়েলের শিন বেত নিরাপত্তা সংস্থার এক কেন্দ্র থেকে বলেন, “এই বিজয়ের ফলে অনেক নতুন সুযোগের সৃষ্টি হয়েছে (Benjamin Netanyahu)। প্রথমত, জিম্মিদের উদ্ধার করা সম্ভব হতে পারে। পাশাপাশি, গাজার সমস্যা সমাধান ও হামাসকে পরাজিত করাও সম্ভব হবে।” নেতানিয়াহুর এই বক্তব্য গাজা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় নির্দেশ করে, কারণ এর আগে তিনি বারবার গাজায় হামাসের ‘সম্পূর্ণ পরাজয়’কেই যুদ্ধের প্রধান লক্ষ্য বলে উল্লেখ করতেন। কিন্তু এবার তিনি জিম্মি মুক্তিকেই প্রথম অগ্রাধিকার দিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জনমত ও পরিবারগুলোর চাপ (Benjamin Netanyahu)
ইসরায়েলি জিম্মিদের পরিবার ও বিরোধী রাজনীতিকদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল—প্রথম লক্ষ্য হওয়া উচিত জিম্মিদের মুক্তি(Benjamin Netanyahu)। ‘Hostages Families Forum’ নেতানিয়াহুর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, “আমরা চাই মুক্তি, উদ্ধার নয়। এই একটি শব্দই নির্ধারণ করবে, জিম্মিদের জীবন বাঁচবে না নষ্ট হবে।”
গাজায় হামলা জারি, শিশুহত্যা বেড়েই চলেছে (Benjamin Netanyahu)
এদিকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর তীব্র বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে(Benjamin Netanyahu)। গত সপ্তাহান্তে ইসরায়েলি হামলায় ১৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু ও নারী রয়েছেন। রোববার জাবালিয়া আল-বালাদ ও জাবালিয়া আল-নাজালেহ এলাকায় বোমাবর্ষণে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হন এবং আরও বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন বলে জানিয়েছেন গাজার জরুরি বিভাগের প্রধান ফারেস আফানা।
আরও পড়ুন: Russia Ukraine War : ইউক্রেনের উপর গ্রীষ্মকালীন হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া! কিভের চলছে জল্পনা
আঞ্চলিক সম্ভাবনা ও কূটনৈতিক চাপ (Benjamin Netanyahu)
নেতানিয়াহু একইসঙ্গে বলেন, “আঞ্চলিকভাবে আরও কিছু বড় সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে,” যা মনে করা হচ্ছে আব্রাহাম অ্যাকর্ড সম্প্রসারণ বা উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের ইঙ্গিত। তবে কূটনৈতিক অগ্রগতির অভাবে গাজায় সামরিক অভিযান চলছে। এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দিচ্ছেন। রোববার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ট্রাম্প বলেন, “MAKE THE DEAL IN GAZA. GET THE HOSTAGES BACK!!!”
চুক্তির খসড়া ও নেতানিয়াহুর বিচার বিলম্বিত (Benjamin Netanyahu)
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় একটি ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব এসেছে, যাতে ১০ জন জীবিত ও ১৮ জন মৃত জিম্মির বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির কথা বলা হয়েছে(Benjamin Netanyahu)। এই সময়ের মধ্যে একটি চূড়ান্ত শান্তিচুক্তির আলোচনা চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে।অন্যদিকে, ইরান অভিযান শেষে নেতানিয়াহু নিজ বিচার কার্যক্রম স্থগিতের আবেদন করলে, তা প্রথমে দুইবার খারিজ হয়। পরে আদালত ‘প্রমাণ কাঠামো পরিবর্তনের’ অজুহাতে এই সপ্তাহের শুনানি মুলতবি করে।
আরও পড়ুন: India US Trade Deal : বাণিজ্যচুক্তি না হলে শুল্কের কোপ! ৮ জুলাই ভারতের সঙ্গে চুক্তির সম্ভাবনা
ফের কূটনৈতিক সমাধানে জোর দিচ্ছে সেনাবাহিনী (Benjamin Netanyahu)
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক শীর্ষ নিরাপত্তা সূত্র জানায়, “২০ মাসের যুদ্ধে হামাসের শীর্ষ নেতৃত্ব প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়েছে। এখন গাজায় কূটনৈতিক সমাধানের পথ অনুসরণই উপযুক্ত(Benjamin Netanyahu)।” গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুযায়ী, ৫৬,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত, যার মধ্যে ১৭,০০০-এর বেশি শিশু। এই প্রেক্ষাপটে, নেতানিয়াহুর ‘জিম্মি মুক্তি’-কেন্দ্রিক নতুন অবস্থান শুধু রাজনৈতিক নয়, মানবিক বাস্তবতাকেও সামনে আনছে।
