ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বিধানসভায় বিজেপির বিধায়কদের সংখ্যা বর্তমানে ৬৫-তে নেমে (BJP) এসেছে, যা দলের জন্য বড় একটি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগে ৭৭ জন বিধায়ক ছিলেন, কিন্তু নির্বাচনের পর দু’জন সাংসদ নির্বাচিত হয়ে বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন। এরপর দলের মধ্যে ভাঙনের ফলে বিধায়কদের সংখ্যা কমতে থাকে, আর এখন পর্যন্ত দলের মধ্যে আট জন বিধায়ক দল ছেড়ে গেছেন এবং এক জন প্রয়াত হয়েছেন।
তাপসীর তৃণমূল যোগ (BJP)
সাম্প্রতিক সময়ে হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল তৃণমূলে যোগ দিয়ে বিজেপির অন্দরে নতুন ভাঙন সৃষ্টি করেছেন (BJP)। তাপসীর যোগদানকে কেন্দ্র করে দলের মধ্যে অস্বস্তি দেখা দিয়েছে, কারণ তিনি শুভেন্দু অধিকারীর জেলার বিধায়ক। তৃণমূল এই ভাঙনকে শুভেন্দুর ‘দুর্গে’ হিসেবে দেখাচ্ছে, যা বিজেপির জন্য বড় একটি সংকট।
দলের বিরুদ্ধেই সমালোচনা (BJP)
উত্তরবঙ্গের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা দলের বিরুদ্ধে সমালোচনা করতে শুরু (BJP) করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে বিজেপি পাহাড়ের জন্য বিশেষ মর্যাদার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু তা পূরণ হয়নি। এমনকি, পৃথক রাজ্যের দাবিও তুলেছেন। তাঁর এই বক্তব্য দলের মধ্যে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং তিনি দল ছাড়ার কথা বলেও জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: TMC: ভুয়ো ভোটার রুখতে এবার নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ জানাবে তৃণমূল!
আনুগত্য নিয়ে প্রশ্ন
এছাড়া, উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়ও দল ছাড়ার প্রক্রিয়ায় আছেন বলে জানা গেছে। তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন, কিন্তু আবার বিজেপিতে ফিরে এসেছেন। তবে তাঁর আনুগত্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, কারণ তিনি রাজবংশী নেতা অনন্ত মহারাজের প্রতি বেশি প্রভাবিত।
বিজেপির অন্দরে অস্বস্তি
দক্ষিণ দিনাজপুরেও বিজেপির অন্দরে অস্বস্তি বেড়ে চলেছে। নবনির্বাচিত মণ্ডল সভাপতিদের তালিকা প্রকাশের পর এক বিধায়ক দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছেন, যা দলের মধ্যে নতুন অশান্তির সঞ্চার করেছে।

টিকিট দিলেই সম্ভব?
মতুয়া অঞ্চলে বিজেপির কিছু বিধায়কও দলের নেতৃত্বকে চাপের মধ্যে রেখেছেন। ভোটের আগে তাঁদের মধ্যে দু’জনকে টিকিট দেওয়া হলে দলবদল ঠেকানো সম্ভব হয়। এক বিধায়কও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে তৃণমূলের দিকে পা বাড়ানোর সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন।
দলের প্রতি বিরূপ মন্তব্য
রাঢ়বঙ্গের কিছু বিধায়কও দলের প্রতি বিরূপ মন্তব্য করছেন। এসব পরিস্থিতিতে বিজেপি ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে চাইছে, কিন্তু বর্তমানে যে অস্থিরতা চলছে, তাতে তাদের পরিকল্পনা বিঘ্নিত হতে পারে। দলের জন্য এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, এই আট বিধায়কের গতিবিধির দিকে নজর রাখা। বিজেপি কি পরিস্থিতি সামলাতে পারবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।