ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গতকাল সংসদে পেশ হয়েছে ‘এক দেশ এক ভোট’-বিল! (BJP One Nation Once Election) এই বিল নিয়েই এখন উত্তাল গোটা দেশ। মঙ্গলবার ‘এক দেশ এক ভোট’-বিলকে কেন্দ্র করে লোকসভায় সরকার ও বিরোধী দুই পক্ষের মধ্যেই সংঘাত দেখা গিয়েছিল। বিরোধীদের ডিভিশনে’র দাবি মেনে ‘এক দেশ এক ভোট’- বিল নিয়ে ভোটাভুটি হয়।
‘বিল নিয়ে ভোট’ (BJP One Nation Once Election)
‘এক দেশ এক ভোট’ বিল (BJP One Nation Once Election) নিয়ে সংসদে যে ভোটাভুটি হয় সেখানে সরকার পক্ষে ভোট পড়ে ২৬৯ টি। কিন্তু,বর্তমানে সংসদের নিম্নকক্ষে শাসকজোট এনডিএ-এর সাংসদ সংখ্যা ২৯৩ টি। সেক্ষেত্রে হিসাব অনুযায়ী শাসক জোটের প্রায় ২৪ জন সাংসদ গতকাল সংসদে ‘এক দেশ এক ভোট’ বিল পেশের সময়ে উপস্থিত ছিলেন না।
‘বিজেপি সাংসদরা অনুপস্থিত’ (BJP One Nation Once Election)
মঙ্গলবার সংসদে বিল (BJP One Nation Once Election) পেশের সময়ে ২৪ জন সাংসদ উপস্থিত ছিলেন না। যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন রয়েছেন বিজেপি সাংসদ। বিজেপি সাংসদ নিতিন গডকড়ী, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, গিরিরাজ সিংহের মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও মঙ্গলবার সংসদে উপস্থিত ছিলেন না।
আরও পড়ুন: One Nation One Election: এক দেশ, এক ভোট বিল জেপিসি-তে, সংখ্যালঘু বিজেপি! কী হবে ভবিষ্যৎ?
‘অনুপস্থিত সাংসদের নোটিস’
কেন সংসদে ‘এক দেশ এক ভোট’ বিলের মতো এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ভোটাভুটির দিন সংসদে উপস্থিত ছিলেন না তা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা প্রশ্ন ও জল্পনা। এই মধ্যে অনুপস্থিত সাংসদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে চায় পদ্মশিবির। জানা গেছে,অনুপস্থিত বিজেপি সাংসদের নোটিস পাঠাতে পারে বিজেপি নেতৃত্ব।
‘উপস্থিতি বাধ্যতামুলক’
‘এক দেশ এক ভোট’ বিল পেশের সময় সংসদে সকল সাংসদের উপস্থিতি বাধ্যতামুলক বলেও জানানো হয়েছিল শাসক গোষ্ঠীর তরফে। জানা গেছে,গতকাল সংসদের নিম্নকক্ষে বিল পেশের সময়ে উপস্থিত থাকা এবং বিল নিয়ে হওয়া আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় শাসক গোষ্ঠীর তরফে দলীয় সাংসদে হুইপ জারি করে এই বিষয়ে জানানো হয়েছিল। কিন্তু, তাঁর পরেও কেন ‘এক দেশ এক ভোট’- এর মতো বিল নিয়ে ভোটাভুটির দিন সংসদে অনুপস্থিত নিতিন গডকড়ী, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া গিরিরাজ সিংহের মতো বিজেপি সাংসদরা? সেই জন্য এবার তাদের অনুপস্থিতির কারণ জানতে এবার তাদের নোটিস পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে খবর বিজেপি সূত্রে। সাংবাদ সংস্থার সুত্রে খবর, যারা এই বিল পেশের দিন সংসদে উপস্থিত ছিলেন না তাঁরা কি তাদের অনুপস্থিতির বিষয়ে আগে থেকে জানিয়েছিলেন? সেই বিষয়েও ক্ষতিয়ে দেখছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা।
আরও পড়ুন: Delhi: ‘অতি ভয়ানক’ রাজধানীর বাতাস, গুণমান সূচক ৫০০ ছুঁইছুঁই
‘বিরোধীদের দাবি’
‘এক দেশ এক ভোট’ নিয়ে প্রথম থেকেই বিরোধীরা সরব হয়েছিল।গতকাল কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল ১২৯তম সংবিধান সংশোধনী বিল এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আইনের এই বিলটি সংসদের নিম্ন কক্ষে পেশ করেন। এই বিল পেশের পর বিরোধী দলগুলি এই জোড়া বিল নিয়ে ডিভিশনের দাবি জানায়। সেই দাবি মেনে স্পিকার ওম বিড়লা ভোটাভুটির সিদ্ধান্ত নেয়।
‘ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেম’
‘এক দেশ এক ভোট’ বিল নিয়ে ভোটাভুটির ক্ষেত্রে প্রথমে ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেম’ এবং পরে ব্যালট ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। নতুন সংসদ ভবনে এই প্রথম ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হল। এই বিল নিয়ে সরকার পক্ষে ভোট পরে ২৬৯টি, আর বিপক্ষে ভোট পরে ১৯৮টি।