ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বর্তমান ব্যস্ত জীবনে উচ্চ রক্তচাপ (Blo od Pressure Tips) বা হাই ব্লাড প্রেশার একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এই সমস্যা মোটেই হালকা ভাবে নেওয়া উচিত নয়। নিয়মিত রক্তচাপ বেশি থাকলে শরীরের উপর পড়ে মারাত্মক প্রভাব। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি যেমন বাড়ে, তেমনি দেখা দেয় কিডনি বা চোখের সমস্যাও। তাই রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি।
চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক (Blood Pressure Tips)
অনেকেই ওষুধের উপর নির্ভর (Blood Pressure Tips) করেই চলেন। কিন্তু তার পাশাপাশি কিছু প্রাকৃতিক উপায়েও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। বিশেষ করে খাদ্যতালিকায় কিছু ফল ও শাকসবজি রাখলে, তা রক্তচাপের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। অবশ্য, এই অভ্যাস শুরু করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক। কারণ, ওষুধের সঙ্গে কোনও খাবার প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে কিনা, তা বুঝে নেওয়া জরুরি।
কলা (Blood Pressure Tips)
প্রতিদিন একটি করে কলা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে (Blood Pressure Tips) রাখা সহজ হতে পারে। কলায় থাকা পটাশিয়াম উপাদান শরীরে অতিরিক্ত সোডিয়ামের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, যা হাই ব্লাড প্রেশারের মূল কারণগুলির একটি। তবে কলা বেশি খাওয়া উচিত নয়, কারণ তাতে রক্তে শর্করার মাত্রাও বেড়ে যেতে পারে।
ব্লুবেরি ও অন্যান্য জামজাতীয় ফল
ব্লুবেরির মতো জামজাতীয় ফলে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরের ভেতরে রক্তনালীর চাপ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত খেলে এটি ব্লাড প্রেশার কমাতে কার্যকর হতে পারে।
বেদানা
বেদানাও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত সহায়ক। এই ফলে থাকা উপাদান হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। সকালে বা বিকেলে এক বাটি বেদানা খাওয়া যেতে পারে।
সবুজ শাকপাতা
শুধু ফল নয়, শাকপাতাও ব্লাড প্রেশার কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। বিশেষ করে পালংশাক ও কেল এই দুটি শাকের মধ্যে থাকা ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। রান্না করে বা স্মুদি হিসেবেও খাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: SBI Net Banking: নেটব্যাঙ্কিং নিয়ে খুব সমস্যা, কী জানালো এসবিআই?
মনে রাখবেন, শুধুমাত্র খাবার নয়, নিয়মিত শরীরচর্চা, পর্যাপ্ত ঘুম এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করাও উচ্চ রক্তচাপ মোকাবিলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ডিসক্লেমার: এই লেখায় দেওয়া তথ্য শুধুমাত্র সচেতনতার উদ্দেশ্যে। নতুন কিছু শুরু করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
