ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ২০২৫-এর কেন্দ্রীয় বাজেট (Budget 2025) উপস্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কর কাঠামোতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিশেষ করে বেতনভোগী ব্যক্তিদের জন্য পাঁচটি বড় পরিবর্তনের কথা শোনা যাচ্ছে।
স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বৃদ্ধি (Budget 2025)
বর্তমানে বেতনভোগী কর্মচারী এবং পেনশনভোগীরা পুরনো কর ব্যবস্থায় ৫০,০০০ টাকা এবং নতুন ব্যবস্থায় ৭৫,০০০ টাকা পর্যন্ত স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের সুবিধা পান (Budget 2025)। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সীমা বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত করা হতে পারে। এটি বর্ধিত খরচ এবং মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের জন্য আরও সহায়ক হবে।
আয়করের স্ল্যাবে পরিবর্তন (Budget 2025)
নতুন কর ব্যবস্থায় আরও পরিবর্তন আসতে পারে। ৩০ শতাংশ করের হার বর্তমানে ১৫ লাখ টাকার উপরে আয়কারীদের জন্য প্রযোজ্য। কিন্তু এটি ২০ লাখ টাকার উপরে আয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য করার কথা ভাবা হচ্ছে। বর্তমান কর স্ল্যাবগুলি হলো:
• ০-৩ লাখ টাকা: শূন্য
• ৩-৭ লাখ টাকা: ৫ শতাংশ
• ৭-১০ লাখ টাকা: ১০ শতাংশ
• ১০-১২ লাখ টাকা: ১৫ শতাংশ
• ১২-১৫ লাখ টাকা: ২০ শতাংশ
• ১৫ লাখ টাকার উপরে: ৩০ শতাংশ
নতুন স্ল্যাবে সামঞ্জস্য আনার ফলে কর কাঠামো আরও ন্যায্য এবং ভারসাম্যপূর্ণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Maha Kumbh 2025: প্রয়াগরাজে অমৃতকুম্ভের সন্ধানে পুণ্যস্নান ভক্তদের
প্রবীণ নাগরিকদের জন্য করছাড় বাড়ানো
বর্তমানে নতুন কর ব্যবস্থায় সব বয়সের করদাতাদের জন্য একই স্ল্যাব প্রযোজ্য। তবে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য আলাদা সুবিধার প্রস্তাব আসতে পারে। প্রবীণ নাগরিকদের করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানোর বা তাদের করের হার কমানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে। পুরনো ব্যবস্থায় প্রবীণ নাগরিকদের জন্য করমুক্ত আয় ৩ লাখ টাকা এবং অতি প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ৫ লাখ টাকা ছিল।
ধারা ৮০সি-র সীমা বৃদ্ধি
বর্তমানে ধারা ৮০সি-র অধীনে কর ছাড়ের সর্বোচ্চ সীমা ১.৫ লাখ টাকা। মুদ্রাস্ফীতি এবং বাড়তি আর্থিক চাপে এই সীমা বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সীমা ৩.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হলে করদাতারা পিপিএফ, জীবনবিমার প্রিমিয়াম, এবং ইএলএসএস-এর মতো বিনিয়োগে আরও সুযোগ পাবেন।
আরও পড়ুন: Z-Morh Tunnel: ৮৬৫০ ফুট উচ্চতায় জ়েড-মোড় সুড়ঙ্গ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী, ঘুরে দেখলেন নিজেই
সোনার আমদানি শুল্ক বাড়ানোর সম্ভাবনা
ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর জন্য সোনার আমদানি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব আসতে পারে। বর্তমানে সোনার আমদানি শুল্ক ৬ শতাংশ, যা আগে ১৫ শতাংশ ছিল। শুল্ক বৃদ্ধি সোনার আমদানি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে এবং বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সাহায্য করবে। তবে এতে দেশীয় বাজারে সোনার দাম বাড়তে পারে।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-২৬ আর্থিক বছরের জন্য কেন্দ্রীয় বাজেট উপস্থাপন করবেন। এই বাজেট থেকে বেতনভোগী মানুষ এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় পরিবর্তনের আশা করা হচ্ছে।