ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: লক্ষ্মীপুজোর সকালে ফের যুবতীর পোড়া অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার। বুধবার সকালে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে যুবতীর অর্ধদগ্ধ দেহ। যা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য গোটা রাজ্যে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় মৃত যুবতীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সাতসকালে নদীয়ার কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত রামকৃষ্ণ মিশন পাড়া এলাকা থেকে উদ্ধার হয় যুবতীর পোড়া অর্ধনগ্ন মৃতদেহ। নদীয়ার কৃষ্ণনগরে পুলিশ সুপার অফিসের ৫০০ মিটারের মধ্যে অজ্ঞাত পরিচয় যুবতীর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। আশ্রমপাড়া বারোয়ারির ঠিক উল্টো দিকে পথেই পড়ে ছিল যুবতীর অর্ধদগ্ধ দেহ। যুবতীর মুখ দগ্ধ অবস্থায় থাকার কারণে নাম ও পরিচয় জানতে বেশ কিছুক্ষণ সময় লেগেছে পুলিশের। পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয়দের অনুমান, ওই যুবতীকে ধর্ষণ করা হয়ে থাকতে পারে। ধর্ষণ করে খুনের পর, প্রমাণ লোপাট করতেই দেহটি পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের একাংশের।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/kolkata-faces-rising-vegetable-prices-in-laxmi-puja/
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবতীর বাড়ি নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত উত্তর কালিনগর এলাকায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ বাড়ি থেকে বের হয় ওই যুবতী। তারপর আর বাড়ি ফেরেনি। পরিবারের অভিযোগ, যুবতীর বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনও স্পষ্ট উত্তর পাওয়া যায়নি। নানা অজুহাত দিয়ে পরিস্থিতি এড়ানোর চেষ্টা করেছে যুবতীর ঘনিষ্ঠ ওই বন্ধু। মৃত যুবতীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বন্ধু রাহুল বসুকে আটক করে ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।